চুয়াডাঙ্গায় কিশোর শাকিলকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার চার আসামি এই দায় স্বীকার করেছেন বলে জানান দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান।
সদর উপজেলার যদুপুরের সৌদি প্রবাসী আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে শাকিল আহমেদ ওরফে শাকিব হোসেন ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পরের দিন দর্শনা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার মা শেফালী খাতুন।
ওসি মাহাব্বুর রহমান জানান, শেফালীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছিল রাজিব মণ্ডল, সিদ্দিকুর রহমান, আকাশ ও সোয়েবকে।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মাস দুয়েক আগে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে ঝিনাইদহ যায় শাকিল। সেখানে পরিচয় হয় কুষ্টিয়ার মিরপুরের রাজিবের সঙ্গে। কয়েক দিন আগে রাজিব যদুপুর বেড়াতে যান।
হত্যার শিকার কিশোর শাকিল। ছবি: নিউজবাংলা
প্রবাসীর ছেলে হওয়ায় মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ পাওয়ার আশায় শাকিলকে অপহরণের পরিকল্পনা করেন রাজিব। সে অনুযায়ী, ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তাকে ডেকে নিয়ে ঘুমের ওষুধ মেশানো কোমল পানীয় পান করানো হয়।
অচেতন হলে মোল্লাবাড়ির আমবাগানে নিয়ে শাকিলের গায়ের গেঞ্জি দিয়েই ফাঁস লাগিয়ে তাকে হত্যা করেন রাজিব ও তার সহযোগীরা। দুই দিন পর ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে শেফালীকে ফোন করেন তারা।
জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানানোর পর শনিবার দুপুরে ওই আমবাগান থেকে শাকিলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রাতেই গ্রেপ্তার দেখানো হয় আসামিদের।