চুয়াডাঙ্গায় অপহৃত হওয়ার সাত দিন পর এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে চার জনকে আটক করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, মুক্তিপণ চাওয়ার পর ওই কিশোরকে হত্যা করেছে অপহরণকারীরা।
শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার যদুপর গ্রামের একটি আমবাগান থেকে শাকিল আহমেদ নামে ১৫ বছর বয়সী কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়।
শাকিল একই গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, দুপুরে আমবাগানের ভেতর শাকিলের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি বলেন, ‘নিহতের মাথা, মুখ ও হাতসহ একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওই ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারীসহ চার জনকে আটক করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার বিস্তারিত জানাবেন পুলিশ সুপার।’
শাকিলের মা শেফালী খাতুন জানান, দুই ভাইবোনের মধ্যে শাকিল বড়। সে এলাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ ও মাছের ব্যবসা করত।
তিনি জানান, ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাড়িতে ভাত খাচ্ছিল শাকিল। পরে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি তার কাছে ফোন করে। ভাত খাওয়া রেখে বাড়ি থেকে বের হয় সে। পরে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
শেফালী খাতুন বলেন, ‘এরপর শাকিলের ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। ২১ ডিসেম্বর পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে ফোন করে অপহরণকারীরা। টাকা না দিলে শাকিলকে খুন করার হুমকিও দেয় তারা।’