বগুড়ার ধুনটে পুরনো বিরোধের জেরে শিশু তাবাসসুমকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আলী আশরাফ ভূঞা।
নিজ কার্যালয়ে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
গত ১৪ ডিসেম্বর ধুনটের নশরতপুর গ্রামের একটি বাঁশঝাড়ে পাওয়া যায় আট বছরের তাবাসসুমের বিবস্ত্র মরদেহ। পরদিন তার বাবা বেলাল হোসেন খোকন ধুনট থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে এসপি আশরাফ জানান, ওই গ্রামের তোজাম্মেল হকের সঙ্গে পারিবারিক পর্যায়ে অনেকদিনের বিরোধ ছিল বেলালের। এর জেরে প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন তোজাম্মেলের ছেলে বাপ্পি আহমেদ।
তিনি জানান, ১৪ ডিসেম্বর রাতে দাদা-দাদি ও ফুপুদের সঙ্গে গ্রামের ওয়াজ মাহফিলে যায় তাবাসসুম। সেখানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছিলেন বাপ্পি এবং তার তিন বন্ধু কামাল পাশা, শামীম রেজা ও লাবলু শেখ।
সেখানেই পরিকল্পনা করে বাদাম দেয়ার কথা বলে তাবাসসুমকে হাজী কাজেম জুবেদা টেকনিক্যাল কলেজে নিয়ে ধর্ষণ করেন কামাল, শামীম ও লাবলু। পরে তাকে গলা টিপে হত্যা করেন বাপ্পি। মরদেহ ফেলে রাখেন পাশের একটি বাঁশঝাড়ে।
মামলা তদন্তে বেলাল ও তোজাম্মেলের বিরোধের বিষয়টি সামনে এলে বাপ্পি ও তার বন্ধুদের নজরদারিতে রাখা হয় বলে জানান এসপি। পরে শুক্রবার শামিমকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যে আটক করা হয় অন্যদের।
জিজ্ঞাসাবাদে চার জনই ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। তাদের গ্রেপ্তার করে বগুড়ার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এসপি।