দোকানে দোকানে সাজানো ভাপা, পুলি, জামাই, শাপলা, পাটিসাপটা, পাকান, কুশলি ও সতীনের মতো পিঠা। সেগুলোতে গিয়ে কেউ কেউ নিয়েছেন পিঠার স্বাদ। অন্যরা দেখেই চোখ জুড়িয়েছেন।
শুক্রবার নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালীগ্রাম শাহ কৃষি জাদুঘরের সামনে আমবাগানে পিঠামেলায় দেখা যায় এমন চিত্র।
মেলায় ২৪টি স্টলে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় গ্রামীণ নারীরা পিঠা বানিয়ে এনে বিক্রি করেন।
পিঠামেলায় ঘুরতে আসা মমিন শাহানা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আসমা ইয়াসমিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পিঠামেলায় এসে খুব ভালো লাগছে। করোনাভাইরাসের কারণে এতদিন কোথাও ঘুরতে যেতে পারিনি। আজকেই প্রথম মেলায় আসলাম।’
প্রতি বছর নতুন আমন ধান ঘরে ওঠার পর প্রায় প্রতি বাড়িতেই নানা ধরনের পিঠা তৈরি হয়। নতুন চালের আটার সঙ্গে বাড়তি স্বাদ যোগ করে নতুন খেজুর গুড়।
মেলায় স্টল দেয়া পিঠা বিক্রেতা নিলুফার জাহান জানান, গত দুই বছর থেকে তিনি এ মেলায় পিঠার স্টল দিচ্ছেন। তার স্টলে ১০ ধরনের পিঠা আছে। অনেকে শুধু দেখছেন, আবার অনেকে পিঠা কিনে খাচ্ছেন।
উপজেলার দক্ষিণ মৈনম গ্রাম থেকে মেলায় আসা বলিহার ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী আশা খাতুন জানান, তিনি প্রায় ১০ ধরনের পিঠা দেখেছেন। এত পিঠা আগে দেখেননি। মেলায় পিঠা খেয়েছেনও অনেক।
তবে তিনি আফসোস করে বলেন, ‘মেলা যদি আরও কয়েক দিন থাকত, তাহলে অনেক মজা হতো।’
মান্দা শাহ কৃষি তথ্য পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবার সীমিত পরিসরে মেলা আয়োজন করা হয়েছে। গ্রামীণ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে মেলা আয়োজন অব্যাহত থাকবে।’