বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কোটি টাকার সেতু আছে, রাস্তা নেই

  •    
  • ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০ ১১:১১

আনুজানি গ্রামের কৃষক লোকমান আহমদ বলেন, ‘ধানি জমির মধ্যে সেতু করা হইছে আমরার যোগাযোগ সহজ করার লায়। কিন্তু ব্রিজের এক পাশে রাস্তা নাই। মানুষরে এখনও আইল পার ওইয়া আসা যাওয়া করা লাগে। কোনো গাড়ি-রিকশা চলে না।’

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে চেলাখাল। এর দক্ষিণে আনুজানি গ্রাম; উত্তরে ধানি জমি। জমি পার হয়ে চেলাবিল। আর বিলের ওপারে মঈনপুর ও করশি গ্রাম।

এই খালের উপর ২০১৭ সালে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। তিন কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬৬ মিটার দীর্ঘ ও ৭ মিটার চওড়া সেতুর নির্মাণ শেষ হয়েছে গত বছর।

তবে এক বছরেও এর ব্যবহার শুরু হয়নি। কারণ এর এক পাশে আনুজানি গ্রামের সড়ক থাকলেও অন্য পাশে কেবলই জমি।

সেতু থেকে নামার নেই কোনো রাস্তা। ছবি: নিউজবাংলা

ঘনবসতি না থাকায় এদিকটায় মানুষের আনাগোনা একেবারেই কম। আশপাশের গ্রামের লোকজন জমির আইল ধরেই যাতায়াত করেন। এমন এলাকায় এত টাকা ব্যয়ে অপ্রয়োজনীয় একটি সেতুর নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন গ্রামবাসীর।

আনুজানি গ্রামের কৃষক লোকমান আহমদ বলেন, ‘ধানি জমির মধ্যে সেতু করা হইছে আমরার যোগাযোগ সহজ করার লায়। কিন্তু ব্রিজের এক পাশে রাস্তা নাই। মানুষরে এখনও আইল পার ওইয়া আসা যাওয়া করা লাগে। কোনো গাড়ি-রিকশা চলে না।’

সেতুটি নিচু হওয়ায় ভরা বর্ষায় এর নিচ দিয়ে নৌযান চলাচলও ব্যাহত হয় বলে জানালেন স্থানীয় তানভীর আহমদ হীরা।

তিনি বলেন, ‘বর্ষাকালে নৌকা দিয়া মাল আনা-নেয়া করা যায় না। কারণ ব্রিজটার উচ্চতা ছোট।’

যান চলাচল নেই সেতুতে। ছবি: নিউজবাংলা

প্রয়োজনীয়তা কিংবা পরিস্থিতি যাচাই না করে চেলাখালের উপর সেতুটি কেন নির্মাণ করা হলো, এমন প্রশ্নের উত্তরে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম জানান, এটি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ।

তার দাবি, সেতুটি অপ্রয়োজনীয় নয়। এটি নির্মাণ হওয়ায় স্থানীয়রা উপকৃত হচ্ছেন, যোগাযোগ উন্নত হয়েছে।

তিনি বলেন, সেতুর উত্তর পাশে সড়ক নির্মাণের জন্য প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সড়ক তৈরি হলে সেতুর কারণে এই এলাকার উন্নয়ন হবে।

এ বিভাগের আরো খবর