কুমিল্লায় দুইটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে দুটি পরিবারের সহায় সম্বল ভস্মিভূত হয়েছে।
শুক্রবার রাতে ও বিকেলে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বিকেল ৩টায় জেলার বরুড়া উপজেলার ৩নং উ. খোশবাস ইউনিয়নের আদমসার গ্রামের খালেক মেম্বারের বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুড়ো ঘর জুড়ে। স্থানীয়রা আগুনের ভয়াবহতা দেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয় ও নিজেরা আগুন নেভাতে চেষ্টা করেন।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা জানান, শুক্রবার বিকাল ৩টায় হঠাৎ ঘরের কোনো এক অংশে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
গৃহকর্তা খালেক মেম্বার জানান, অগ্নিকাণ্ডে ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার, মাছ বিক্রির এক লাখ ১৬ হাজার টাকা ও আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
বরুড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা আবুল কালাম জানান, আগুনের বিষয়ে আমাদের ফোন করা হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই স্থানীয়রা নিজেদের চেষ্টায় আগুন নিভিয়ে ফেলে।
এদিকে জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপেজলার সদর এলাকার কল্পবাস গ্রামের খান বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাত ২টায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
কল্পবাস গ্রামের কামাল হোসেন জানান, তিনি পেশায় অটো চালক। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০টায় তার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চার্জ দিয়ে ঘরে যান। রাত ২টায় তিনি ঘরের চারপাশে আগুন দেখতে পান। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কোনোভাবে দৌড়ে বাড়ির বাইরে আসেন।
ততক্ষণে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
কামাল হোসেন আরও জানান, তিনি দেড় লাখ টাকা ধার করে অটোরিকশাটি কিনেছেন কিছুদিন আগেই। আগুনে তার বাড়ির একটি ছাগও পুড়ে গেছে।
এ ছাড়া ঘরের আসবাবপত্র, কাপড়চোপড়, ৮ হাজার টাকাসহ সব পুড়ে গেছে। তার ধারণা, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে।
বুড়িচং ফায়ার স্টেশনের অফিসার সোহেল আহমেদ বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলে।’