বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বতন্ত্র ঠেকাতে আ. লীগ-বিএনপি ভাই ভাই

  •    
  • ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ২১:৪৭

এখানে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী বর্তমান মেয়র আবদুল বারেক মোল্লা। তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। এ ছাড়া বিএনপির এক জন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক জন প্রার্থী রয়েছেন।

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ঠেকাতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী এককাট্টা হয়েছেন। শোনা যাচ্ছে ‘আওয়ামী লীগ-বিএনপি ভাই ভাই, এসো স্বতন্ত্র ঠেকাই’ স্লোগান।

এখানে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী বর্তমান মেয়র আবদুল বারেক মোল্লা। তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।

এ ছাড়া এখানে বিএনপির এক জন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক জন মেয়র প্রার্থী রয়েছেন। স্বতন্ত্র ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ভোট ব্যাংকের পরই এখানে রয়েছে বিএনপির অবস্থান।

এ কারণে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এক হয়ে তাকে ঠেকাতে মাঠে কাজ করছেন বলে অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থীর।

জগ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হাওলাদার নিউজবাংলাকে বলেন, আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা তার কর্মী-সমর্থকদের নির্বাচনী প্রচারে দফায় দফায় বাধা দিচ্ছেন। তারা বাসাবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করছেন। কিন্তু বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা বিনা বাধায় দিনরাত প্রচার চালিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমার জনসমর্থন দেখে আওয়ামী লীগের বারেক মোল্লা তার বাহিনী দিয়ে প্রতিদিন নির্বাচনী প্রচারে বাধা দিচ্ছেন। জনপ্রতিনিধি ও কেন্দ্রীয় নেতাদের ছাড়াও জেলা এবং পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকে পাঁচ হাজারেরও বেশি লোক এনে তিনি নৌকার পক্ষে প্রচারের নামে শুধু আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করছেন।’

আনোয়ার হোসেনের অভিযোগ, ‘নির্বাচনে মাঠে রাখার জন্য মনোনয়ন দাখিলের আগে বিএনপির প্রার্থীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষ থেকে ২০ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। যা বিভিন্ন মিডিয়ায় ইতিমধ্যে প্রকাশও হয়েছে।’

তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বারেক মোল্লা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনও বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে জোট করে না। যারা জ্বালাও-পোড়াও করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে, তাদের সাথে আমার একত্রিত হবার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।’

তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাটকে ওস্তাদ। সব সময় নাটক করে নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্ট করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু কুয়াকাটার জনগণ তা কখনও করতে দেবে না।

তিনি আরও বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে কুয়াকাটায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আমার বিশ্বাস, এই উন্নয়নের কারণেই এখানকার ভোটাররা আমাকে পুনরায় মেয়র পদে নির্বাচিত করবেন।’

বহিরাগত, জনপ্রতিনিধি ও কেন্দ্রীয় নেতাদের কুয়াকাটায় অবস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, দলীয় কর্মিসভায় যোগ দিতে তারা এসেছেন।

এদিকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর পক্ষ থেকে ২০ লাখ টাকা নিয়ে মনোনয়ন দাখিলের অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি প্রার্থী আ. আজিজ মুসুল্লী বলেন, কুয়াকাটায় বিএনপির শক্ত ঘাঁটি রয়েছে। যদি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হয়, তাহলে বিএনপির জয় অবশ্যই হবে।

তিনি বলেন, ‘এ কারণেই কুয়াকাটার একটি মহল বিএনপি বা আমাকে নিয়ে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

দলীয় কর্মী-সমর্থক ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীর এখানে নিজস্ব ভোটব্যাংক নেই। তারপরও হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম মুসুল্লী চান সুষ্ঠু নির্বাচন।

পাঁচ বছর আগে প্রথমবারের মতো পৌরসভা নির্বাচনে অনেকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি।

পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝিবাড়ী এলাকার বাসিন্দা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘৫৫ বছর বয়স অইছে। কত বচ্ছর বাঁচি জানি না। অন্তত এবার যেন একবারের জন্য অইলেও ভোট দিতে পারি। আপনারা সে বিষয়টা দ্যাহেন।’

তিনি বলেন, ‘মোর বাড়িত সতেরডা ভোট আছে। মাইয়া পোলা ছাড়াও মোর নাতিরা এবার ভোটার অইছে। এ বচ্ছর যদি মোরা ভোট দিতে না পারি, তাইলে মনে বড় কষ্ট পামু।’

এ পৌরসভায় মোট ভোটার ৮ হাজার ১২২ জন রয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর