বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিদ্যুৎ সংযোগে ঘুষ

  •    
  • ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৯:৫২

স্থানীয়দের অভিযোগ, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বকশীগঞ্জ অঞ্চলের কর্মকর্তারা ও লাইন নির্মাণের ঠিকাদার রনি একটি চক্রের মাধ্যমে প্রত্যেক গ্রাহকের থেকে আট থেকে ১০ হাজার টাকা করে নিয়েছে। এ রকম ২৫০ জনের কাছে থেকে প্রায় ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি।

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের নির্মাণাধীন লাইনের সংযোগ দেয়ার নামে গ্রামবাসীদের কাছে থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।

টাকা দেয়ার পরও বিদ্যুৎ সংযোগ পাননি উপজেলার পাররামরামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মোয়ামারী গ্রামের বাসিন্দারা।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, মোয়ামারী গ্রামে প্রায় ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে পৌনে চার কিলোমিটার জুড়ে বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। যার মাধ্যমে ১৭০ জন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

তারা অভিযোগ করেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বকশীগঞ্জ অঞ্চলের কর্মকর্তারা ও লাইন নির্মাণের ঠিকাদার রনি একটি চক্রের মাধ্যমে প্রত্যেক গ্রাহকের থেকে আট থেকে ১০ হাজার টাকা করে নিয়েছে। এ রকম ২৫০ জনের কাছে থেকে প্রায় ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। টাকা দেয়ার পরও বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় এলাকাবাসীদের পক্ষ থেকে জামালপুরের জেলা প্রশাসক ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করা হয়।

টাকা আদায়কারী মাওলানা আনিছুর রহমান সংযোগ গ্রহণকারীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, গ্রাম লোকজনদের সঙ্গে আলোচনা করেই তিনি টাকা তুলে ঠিকাদার ও পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের দিয়েছেন।

তবে টাকা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বকশীগঞ্জ জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আক্তারুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার দক্ষিণ মোয়ামারী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সংযোগ দিতে গ্রাহকদের কাছ থেকে চার থেকে পাঁচ হাজার করে টাকা নিয়েছেন এলাকার মাতুব্বর আনিছুর।

গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অনেক দিন হয় তারা টাকা নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সংযোগ পাইনি।’

ডিজিএম আক্তারুজ্জামান ফোনে টাকা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘অনেক দিন আগেই এই বিদ্যুৎ লাইনের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও এলাকায় দ্বন্দ্বের কারণে কিছু গ্রাহককে সংযোগ দেয়া হয়নি। কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নামে টাকা নেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর