করোনা মহামারির মধ্যে নোয়াখালী সদর উপজেলায় চলছে স্কাউটের প্রশিক্ষণ।
করোনার আতঙ্কে বেশ কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থী ওই প্রশিক্ষণে অংশ নেননি। তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় প্রশিক্ষণ আয়োজনের দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, গত ২৩ ডিসেম্বর সকালে জেলা শহর মাইজদীর প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে এ প্রশিক্ষণ শুরু হয়। চলবে ২৭ ডিসেম্বর বিকেল পর্যন্ত।
বাংলাদেশ স্কাউটস কুমিল্লা অঞ্চলের ব্যবস্থাপনায় এবং বাংলাদেশ স্কাউটস নোয়াখালী জেলা শাখার আয়োজনে এ প্রশিক্ষণ হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রশিক্ষণার্থী বলেন, করোনা রোধে দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান চলছে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে। সরকারের পক্ষ থেকে গণজমায়েত এড়িয়ে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কিন্তু এই মহামারির মধ্যে তিন জন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও ৯৭ জন প্রশিক্ষণার্থী দিয়ে ওই প্রশিক্ষণ হচ্ছে। অংশ নিচ্ছেন ৫৩ জন।
এ প্রশিক্ষণে সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষিত। স্বাস্থ্যবিধিও মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রশিক্ষণের তালিকাভুক্ত একজন শিক্ষক বলেন, ‘আমাকে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করার জন্য ফোন করা হয়েছিল। করোনা আতঙ্কের কারণে আমি ওই প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারব না জানাই। এতে আমাকে কাব এর এক নেতা কারণ দর্শানোর নোটিশের হুমকি দেন।’
নোয়াখালী জেলা শহরের মাইজদীর প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে চলছে এ প্রশিক্ষণ। ছবি: নিউজবাংলা
কাব স্কাউট ইউনিট লিডার বেসিক এবং গার্ল ইন কাব স্কাউট ইউনিট লিডার বেসিক কোর্সে অংশ নিতে প্রশিক্ষণার্থীদের সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষরে একটি চিঠি পাঠানো হয়। পিটিআইতে পূর্ণ প্রস্তুতিসহ প্রশিক্ষণার্থীদের উপস্থিত থাকার জন্য ডেপুটেশন (প্রেষণ) দেয়া হয়।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিদ্দিকুর রহমান জানালেন, তিনি এই বেসিক কোর্স সম্পর্কে কিছুই জানেন না।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘বেসিক কোর্সটি সম্পর্কে শুনেছি। তবে এটি সদর উপজেলা শিক্ষা অফিস তাদের নিজস্ব উদ্যোগে করছে।’ করোনার সংক্রমণের মধ্যে এ রকম প্রশিক্ষণের কোনো নির্দেশনা আছে কি না, প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি তিনি।