বরিশাল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে এক রোগীর বাঁ পাশে হার্নিয়ার অস্ত্রোপচার ভুল করে ডান পাশে করার ঘটনা তদন্তে যাওয়া পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে।
বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) বরিশাল শাখার সহসভাপতি ডা. সৈয়দ মাকসুদ হক ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মনিরুজ্জামান শাহীনের সই করা এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ তোলা হয়।
বিবৃতিতে সংগঠনের বরিশাল শাখার সভাপতি ও ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ইসতিয়াক হোসেনকে মামলার আসামি করারও নিন্দা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘ভুল অপারেশনের সঙ্গে ডা. ইসতিয়াক হোসেন সম্পৃক্ত না থাকা সত্ত্বেও তাকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তে গিয়ে এসআই রিয়াজুল ইসলাম চিকিৎসকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘যার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ করা হচ্ছে, তার সাথে আমার দেখাই হয়নি। মামলা হওয়ার পর আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। এটা কি আমার অপরাধ হয়ে গেল? ভুল অপারেশন করবে তারা, আর অভিযোগও করবে তারা। এটা কেমন কথা! এক জন চিকিৎসকের সাথে আমি কেন অসৌজন্যমূলক আচরণ করব।’
আরও পড়ুন: হার্নিয়া বাম পাশে, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল কাটল ডান পাশ
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভুল অপারেশনের শিকার রোগী মানিক কারিকরের চিকিৎসার দায়িত্ব অভিযুক্ত ডা. এমএস রহমান সুমন নেয়ার ঘোষণা দেন। এর থানায় মামলা প্রত্যাহারের জন্য যান মানিক। কিন্তু থানার কর্মকর্তারা মামলা প্রত্যাহার না করে ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। শেষে বৃহস্পতিবার আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন মানিক।এই অবস্থায় এসআই রিয়াজুলকে প্রত্যাহারের দাবি এবং ভবিষ্যতে যেন পুলিশ সদস্যরা এমন অসৌজন্যমূলক আচরণ না করেন, সেজন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় ওই বিবৃতিতে।বরিশাল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ডা. এমএস রহমান সুমনের কাছে হার্নিয়ার অপারেশন করাতে যান ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার তিমিরকাঠির বাসিন্দা মানিক। ১৭ ডিসেম্বর তার অপারেশন হয়। তার হার্নিয়া বাম পাশে, কিন্তু ডাক্তার রহমান সুমন তার ডান পাশে অপারেশন করেন।