বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোগীর স্বজন-ইন্টার্ন চিকিৎসকের সংঘর্ষ, আহত ১০

  •    
  • ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৯:১৪

কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে হাসপাতালের চিকিৎসক চিরঞ্জিত, হাবিবুল্লাহ, কর্মচারী কিরন, রোগীর স্বজন শহিদুল্লাহ, জিহাদ ও সাইদুরসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে হাসপাতালের চিকিৎসক চিরঞ্জিত, হাবিবুল্লাহ, কর্মচারী কিরন, রোগীর স্বজন শহিদুল্লাহ, জিহাদ ও সাইদুরসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঘটনাস্থল থেকে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লুৎফর রহমানসহ সাত ইন্টার্ন চিকিৎসককে আটক করে থানায় নেয় পুলিশ।

মারা যাওয়া রোগীর ভাতিজা সাইদুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, তার চাচী করিমন নেছা (৫৫) নামাজ পড়তে গিয়ে নির্মানাধীন দ্বিতীয় তলার দেয়াল ভেবে কাপড়ের পর্দায় হেলান দিতে গিয়ে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। জরুরি বিভাগে অনেক সময় অপেক্ষা করলেও কেউ এগিয়ে আসে না। পরে চিরঞ্জিত ডক্টরস রুম থেকে এসে রোগীকে দেখে মৃত ঘোষণা করেন।

সাইদুরের অভিযোগ, সময়মত অক্সিজেন দিলে আমার চাচী মারা যেতেন না।

বলেন, ‘ডাক্তারকে এসব জিজ্ঞেস করার পর হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে ইন্টার্নি ডাক্তাররা আমার উপর হামলা করে। আমাকে মারধর ও আমার মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে।’

জামালপুরে চিকিৎসা অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে সংঘর্ষ। ছবি: নিউজবাংলা

প্রত্যক্ষদর্শীরা নিউজবাংলাকে জানান, রোগীর মৃত্যুতে ডাক্তারের অবহেলার অভিযোগ ঘিরে জরুরি বিভাগে রোগীর স্বজন ও ডাক্তার কর্মচারীদের মধ্যে তর্কবির্তকের এক পর্যায়ে হাসপাতাল ভাঙচুর ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ডাক্তাররা আহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে রোগীর স্বজন ও ইন্টার্ন ডাক্তাররা উপস্থিত হয়। তখন চলে দফায় দফায় হামলা-পাল্টা হামলা।

এ বিষয়ে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক চিরঞ্জিত নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রোগীর মৃত্যুতে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ সঠিক নয়। আমি সঠিকসময়ে রোগীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করি। কিছু বুঝে উঠার আগেই রোগীর স্বজনরা আমার উপর হামলা চালিয়ে জরুরি বিভাগের আসবাব ভাঙচুর করেছে।’

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ফেরদৌস হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ডাক্তারের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলা সঠিক নয়। দুই পক্ষের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝিতে অনাকাঙ্খিত এমন ঘটনা ঘটেছে। আমরা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।’

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম খান বলেন, ‘জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে একজন রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় একটি অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। রোগীর স্বজন ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মধ্যে ধাওয়-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। সেই সঙ্গে এক ডাক্তারসহ সাত ইন্টার্ন চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে।’

তিনি জানান, কোনো অভিযোগ না থাকায় আটককৃতদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় নেতাদের মাধ্যমে সমঝোতা করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর