বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কারেন্ট পোকায় দিশেহারা কৃষক

  •    
  • ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৫:২২

কৃষকরা বলছেন, চারা গাছ খেয়ে ফেলছে ছোট ছোট পোকা। কীটনাশক ছিটিয়েও রক্ষা করা যাচ্ছে না বীজতলা। ফলে চারার অভাবে এ বছর জমি অনাবাদি থাকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

নদ-নদী খনন না করা এবং অপরিকল্পিতভাবে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের কারণে এ বছর হবিগঞ্জের হাওরাঞ্চলে কৃষিজমি থেকে পানি নামতে বেশ দেরি হয়েছে। যার প্রভাব পড়ে ধানের বীজতলা তৈরিতে। জমি জলমগ্ন থাকায় নভেম্বরের শুরুতে চারা তৈরি করতে পারেননি কৃষক। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ ছিল না তাদের। সেই সমস্যা কিছুটা কাটলেও এখন তাদের ভাবাচ্ছে কারেন্ট পোকার (বাদামি গাছ ফড়িং) আক্রমণ।

কৃষকরা বলছেন, চারা গাছ খেয়ে ফেলছে ছোট ছোট পোকা। কীটনাশক ছিটিয়েও রক্ষা করা যাচ্ছে না বীজতলা। ফলে চারার অভাবে জমি অনাবাদি থাকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

হাওর এলাকায় বছরের এই সময়ে ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত থাকেন কৃষকরা। কিন্তু চারা ‘সংকটে’ এখনও তা করতে পারেননি অনেকে। জোগান বাড়াতে নভেম্বরের মাঝামাঝিতে দ্বিতীয় দফায় বীজতলা তৈরি করেন কেউ কেউ। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। সবুজ পাতা খেয়ে চারা নষ্ট করছে কারেন্ট পোকা।পোকার আক্রমণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বানিয়াচং উপজেলার চাষিরা। এ ছাড়া লাখাই, আজমিরীগঞ্জ, বাহুবল ও নবীগঞ্জ উপজেলার বীজতলায়ও আক্রমণ করেছে এ পোকা।

কৃষকের হাতে এভাবেই উঠে আসে কারেন্ট পোকা। ছবি: নিউজবাংলা

বানিয়াচং উপজেলার সুবিদপুর গ্রামের কৃষক মঙল সরকার বলেন, ‘যে ফোকা আক্রমণ করছে ওই ফোকা এর আগে আমরা দেখছি না। কীভাবে ইডার থেকে বাঁচমু বুঝতা পারতা ছিনা। ই ব্যাপারে সরকার থ্যাইকা কুনো সহযোগিতা পাইতাছি না।’

একই উপজেলার কবিরপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল কবির জানান, ‘আমি এ বছর ১২ খের (২৮ শতকে এক খের) জমি করছি। এ জন্য ৫২ শতক জমিত জালা চারা করছি। কিন্তু ফোকার লাইগা একটা জমিতও এই জালা লাগাইতা পারতাম না।’

একই গ্রামের কৃষক তৈয়ব উল্যাহ জানান, তাদের গ্রামের অধিকাংশ কৃষকেরই বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন চারা কিনে জমিতে রোপন করতে হবে। যদি চারা কিনতে না পাওয়া যায়, তাহলে জমি পতিত থাকবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বছর হবিগঞ্জ জেলায় এক লাখ ২০ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এসব জমির জন্য সাড়ে পাঁচ হাজার হেক্টরের বেশি জমির চারা দরকার পড়বে। কিন্তু জেলায় বীজতলা তৈরি হয়েছে ছয় হাজার হেক্টরের কিছু বেশি জমিতে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক তমিজ উদ্দিন বলেন, ‘কৃষকরা যেভাবে অভিযোগ করছেন সেভাবে ক্ষতি হয়নি। পোকার আক্রমণ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষি অফিস থেকে সরকারিভাবে স্প্রে করা হচ্ছে। এ ছাড়া কৃষকদেরও বিভিন্নভাবে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, চাহিদার চেয়ে বেশি বীজতলা তৈরি হওয়ায় কৃষকরা সংকটে পড়বেন না।

এ বিভাগের আরো খবর