বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইটভাটা বন্ধ করে ফলের বাগান

  •    
  • ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৪:৩৪

ছয় দশকের ইটভাটা বন্ধ করে সেখানে বিদেশি ফলের বাগান করেছেন সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন। চাঁদপুর সদরের শাহতলী গ্রামে তার বাগানে এখনও সব গাছে ফল আসেনি। তবে তার আগেই মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে এই উদ্যোগ।

মরু এলাকার তরমুজ সাম্মামের বাগান দেখতে চান? বা মিশরে জনপ্রিয় মাস্ক মেলন? যেতে হবে না আরব বা পিরামিডের দেশে। রকমেলনের স্বাদ নিতেও ইউরোপ যাওয়ার দরকার নেই।

ইলিশের রাজধানী চাঁদপুরে গেলেই দেখা মিলবে ভিনদেশি ফলের বাগান। রুপালি ইলিশে রসনা বিলাসের পর ডেজার্ট হিসেবে মন্দ হবে না নেহায়েত।

চাঁদপুর সদরের শাহতলী গ্রামের হেলাল উদ্দিন গড়ে তুলেছেন ফলের এই বাগান। তিনি রাজধানীতে একটি জাতীয় দৈনিকের সিনিয়র রিপোর্টার ছিলেন। সাংবাদিকতা ছেড়ে গড়ে তুলেছেন এই বাগান।

বাগানটি এমন এক জায়গায় করা হয়েছে, যেটিও একে আলোচিত করে তুলেছে। পরিত্যক্ত ইটভাটায় সবুজে ছেয়ে দিয়েছেন হেলাল।

প্রায় আড়াই একরের বাগানটিতে আরও আছে ড্রাগন, স্ট্রবেরি, ক্যাপসিকাম এবং বিদেশি জাতের আম, মাল্টা, পেয়ারাসহ নানা জাতের ফলগাছ।

চলতি বছরই গড়ে তোলা হয়েছে এই বাগান। প্রথমে ফলন এসেছে তরমুজের। বাকি গাছগুলো এখনও ছোট। কয়েক বছরে গাছগুলো বড় হলে বাগানটি আরও দৃষ্টিনন্দন হবে বলে আশা করছেন উদ্যোক্তা।

কয়েক বছর আগে এই জমিতে ছিল দুটি ইটভাটা। সেখানে পোড়ানো কাঠ ও কয়লার ধোঁয়ায় ছেয়ে যেত গোটা এলাকা। প্রায় ৬০ বছর ধরে চলছিল এটি।

পরিবেশ দূষণ হওয়ায় পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে পৈত্রিক ইটভাটা দুটি বন্ধ করে দেন হেলাল উদ্দিন। এই জমি পড়ে থাকবে, স্বজনদের এমন আশঙ্কাও দূর করে দেন তিনি অভিনব উদ্যোগে।

ফল বাগানের উদ্যোক্তা সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন

হেলাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইটভাটা বন্ধের পর কয়েক বছর ধরে পরিত্যক্ত ছিল জমি। পরে সেখানে ফলের বাগান করার সিদ্ধান্ত নেই।’

হেলাল জানান, অনেকে তাকে বলেছেন, ইটভাটার বিষাক্ত জমিতে চাষাবাদ সম্ভব না। কিন্তু তিনি দেখিয়েছেন, কোনো জমিই ফেলনা নয়।

হেলাল উদ্দিনের বাগানে বিদেশি তরমুজ

কীভাবে সাধন হয়েছে আপাত দৃষ্টিতে অসাধ্য?

হেলাল বলেন, ‘কয়েক মাস আগে প্রথমে বালি ফেলে জমি দূষণমুক্ত করি। পরে মালচিং পদ্ধতিতে ফলের গাছ লাগাই। এখন বাগানে তিন জাতের তরমুজের ফলন এসেছে। দেশের মাটিতে বিদেশি এসব ফলের আশাতীত ফলনে আমি অভিভূত।’

স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে এই ফলের বাগান নিয়ে উচ্ছ্বাস রয়েছে।

এই যেমন নূর মোহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘আগে ওই গ্রামের মানুষ ইটভাটার ধোঁয়ায় অতিষ্ঠ ছিল। এখন সেই স্থানে শোভা পাচ্ছে রঙিন ফলের বাগান। অনেকেই বাগানে ঘুরতে আসেন।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জালাল উদ্দিন জানান, জেলায় বিদেশি ফল চাষ এটিই প্রথম। তিনি বলেন, ‘একজন প্রগতিশীল মানুষ হিসেবে ইটভাটাকে ফলবাগানে রূপান্তর করেছেন হেলাল। এ জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। তাকে আমরা পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিয়ে আসছি।’

এখনও সেভাবে ফল বিক্রি হচ্ছে না। ফলন বাড়লে এ নিয়ে চিন্তা করবেন হেলাল। জানান, রাজধানীর বিভিন্ন সুপারশপে সরবরাহের পরিকল্পনা আছে তার। গাছগুলো বড় হলে আর ফলন ভালো হলে তিনি যোগাযোগ করবেন।

এ বিভাগের আরো খবর