বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খোকসায় সরব আওয়ামী লীগ, বিএনপি নীরব

  •    
  • ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ১২:২৬

মেয়র পদে প্রার্থী দুই জনই। নৌকা নিয়ে লড়ছেন আওয়ামী লীগের সদ্য বিদায়ী মেয়র তারিকুল ইসলাম। আর ধানের শীষ পেয়েছেন বিএনপির নাফিজ আহমেদ খান রাজু। নৌকার পক্ষে জোর প্রচার চললেও বিএনপির কর্মীরা অনেকটাই অলস বসে। তাদের অভিযোগ, বাধা দেয়া হচ্ছে প্রচারে।

কুষ্টিয়ার খোকসা পৌরসভা নির্বাচনে অনেকটাই একতরফা প্রচার চলছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ, মিছিল, পথসভার কমতি নেই। সেই তুলনায় বিএনপির সমর্থকরা অনেকটাই নীরব।

২৮ ডিসেম্বর যেসব পৌরসভায় ভোট হবে, তার মধ্যে আছে কুষ্টিয়ার এই পৌরসভাটি।

নয়টি ওয়ার্ডে প্রায় ১৫ হাজার ভোটারের সমর্থন পাওয়ার লড়াইয়ে মেয়র প্রার্থী দুই জনই।

আওয়ামী লীগ এখানে দলীয় প্রতীক নৌকা তুলে দিয়েছে সদ্য বিদায়ী মেয়র তারিকুল ইসলামের হাতে। আর বিএনপির ধানের শীষ পেয়েছেন নাফিজ আহমেদ খান রাজু।

নৌকা মার্কার পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো পৌর এলাকা। চলছে মাইকিং। আর প্রার্থী নিজে এবং দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী দিনরাত তার পক্ষে ভোট চাইছেন।

খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আখতার বলেছেন, ‘আমরা পথসভা, কর্মীসভা করছি। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাচ্ছি। বিএনপি প্রার্থীর কোনো কার্যক্রম দেখছি না। যেহেতু শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন করে যাচ্ছেন তাই সেই ধারাবাহিকতা রক্ষায় নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন জনগণ।’

গত নির্বাচনেও এখানে জিতেছিলেন তারিকুল ইসলাম। তার দাবি, তিনি ভোটের আগে জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতি রেখেছেন। তার উন্নয়ন দৃশ্যমান। আর ধারাবাহিকতা রাখতে জনগণ আবার তাকে ভোট দেবে।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সদ্য সাবেক মেয়র তারিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন বরাদ্দ নিয়ে মানুষের যে নাগরিক সেবা তার অধিকাংশ দিতে পেরেছি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হয়তো ঘাটতি থাকতে পারে। তা কাটিয়ে উঠে আগামী দিনে মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটাতে পারব। সকলকে নিয়ে নৌকা মার্কার বিজয়ে আমি আশাবাদী।’

ক্ষমতাসীন দলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শিবির অনেকটাই শান্ত। মাঝেমধ্যে জনসংযোগে বের হলেও নাফিজ আহমেদ খান রাজুর পক্ষে প্রচার চোখে পড়ে না বললেই চলে।

বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নাফিজ আহমেদ খান রাজু। ছবি: নিউজবাংলা

রাজুর দাবি, নির্বাচনে সমান সুযোগ পাচ্ছেন না তিনি। তার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে, মাইকিংয়ে বাধা দেয়া হয়েছে। একাধিক এলাকায় হামলা হয়েছে।

নিউজবাংলাকে বিএনপির প্রার্থী বলেন, ‘আমার লোকজন যেখানে পোস্টার মারতে যাচ্ছে তাদের মারধর করা হচ্ছে, এলাকা ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। এসব প্রহসনের নির্বাচন করে কী লাভ?

‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে আমি আমার প্রচার প্রচারণা চালাতে পারছি না। এমনকি আমাকে মাইক ভাড়া দেয়া হচ্ছে না। প্রত্যেকটা মাইকের দোকানে বলে রাখা হয়েছে বিএনপি প্রার্থীকে মাইক দিলেই ভেঙে ফেলা হবে। লিখিত অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না।’

গত ২২ ডিসেম্বর রাতে বিএনপির প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ ও কৃষকলীগ নেতাসহ সাত জনকে আটক করেছে পুলিশ।

নির্বাচনে নয়টি ওয়ার্ডে সব মিলিয়ে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৩১ জন। আর তিনটি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী ১০ জন।

মেয়র পদে অনেকটা একতরফা প্রচার চললেও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জোর প্রচারণা চলছে কাউন্সিলর প্রার্থীদের।

৪ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর ও একই পদের প্রার্থী আব্দুল হাকিম বলেন, ‘এবারও আমি ডালিম প্রতীক পেয়েছি। নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছি। সুষ্ঠু ভোট হলে আমার বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।’

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু আনছার বলেন, ‘নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশ সন্তোষজনক। আচরণবিধি দেখভাল করতে এখানে তিন জন ম্যাজিস্ট্রেট আছেন। আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে কোনো অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর