ভিক্ষা করে কয়টা টাকা পেয়েছিলেন জমিরন বেগম। শীতের সবজি কিনে ফিরছিলেন বাড়ি। কিন্তু সেটা আর রান্না করা হলো না।
রেল লাইন ধরে হেঁটে বাড়ি ফেরার সময় ট্রেনের চাকায় থেমে যায় ৭০ বয়সী এই মানুষটির জীবনের চাকা। সারা জীবন কষ্ট করে চলা মানুষটির জীবনাবসানও হলো ভীষণ কষ্টে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেন্দুয়া রেলওয়ে স্টেশনের আউটারে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের দামেশ্বর গ্রামে থাকতেন মানুষটি। স্বামী জসিম মণ্ডল মারা গেছেন আগেই।
দুই জন ছেলে ও দুই জন মেয়ে আছে তার। নিজেরাও হতদরিদ্র। বৃদ্ধা মায়ের দেখাশোনার সঙ্গতি নেই তাদেরও।
জীবন চালাতে তাই জমিরন বেছে নেন ভিক্ষাবৃত্তি। তার এক স্বজন নিউজবাংলাকে জানান, ভিক্ষা শেষে কিছু বাজার করে বাড়ির দিকে ফিরছিলেন।
কেন্দুয়া রেলওয়ে স্টেশনের আউটারে দুই নং রেল লাইন দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন তিনি। সাড়ে ছয়টার দিকে ঢাকার উদ্দেশে জামালপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া জামালপুর এক্সপ্রেসে কাটা পড়েন তিনি।
জামালপুর রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মোহাম্মদ খবির আহম্মেদ নিউজবাংলাকে বলেন, তার মরদেহটি ময়নাতদন্ত করা হবে না। ছেলের অনুরোধের পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।