বগুড়ার সান্তাহার পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থীই হত্যা মামলার আসামি বলে নিশ্চিত করেছেন আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জালাল উদ্দীন।
প্রার্থী দুই জন হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত আশরাফুল ইসলাম মন্টু ও বিএনপির তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টো।
ওসি জানিয়েছেন, এই দুই জনই জোড়া খুন মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি।
সান্তাহার পৌরসভায় দ্বিতীয় ধাপে ১৬ জানুয়ারি ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট নেয়া হবে।
এজাহারে বলা হয়েছে, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম মন্টু ২০১০ সালে সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালে পৌরসভা নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন, তবে পাননি। পরে বিদ্রোহী প্রার্থী হন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ছিলেন শ্রমিক লীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম রাজা।
তিনি সান্তাহারের সার লোপাটের ঘটনায় সমালোচিত। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক মামলাও হয়েছে। ২০১৫ সালের নির্বাচনে রাজাকে পরাজিত করে মেয়ন হন বিএনপি প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টো।
২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি দুপুরে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুলকে। এ সময় গুরুতর আহত হন অটোরিকশাচালক সোহরাব হোসেন। ঘটনার কয়েক দিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহরাব মারা যান।
এ ঘটনায় মামলায় বিএনপির প্রার্থী তোফাজ্জল ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম মন্টুকে হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে আসামি করা হয়। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে।
তবে দুই জনই জামিনে আছেন। পরে রশিদুলকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হলেও আবার তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হন।
ওসি জালাল উদ্দীন বলেন, জোড়া খুনের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে, মামলাটি এখন বিচারাধীন।
হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত ব্যক্তিকে পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সান্তাহার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মামলা কারও বিরুদ্ধে হতেই পারে। আদালতে প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তো অপরাধী হতে পারে না। আর এই মামলায় ষড়যন্ত্র করে তাকে জড়ানো হয়েছে। বিএনপির প্রার্থীও তো একই মামলার আসামি। তাদের সম্পর্কেও খোঁজ খবর নেন।’
জানতে চাইলে সান্তাহার পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো তোফাজ্জল হোসেনসহ চার জনের নাম প্রস্তাব করেছিলাম জেলা কমিটির কাছে। জেলা কমিটি ওই তালিকা কেন্দ্রে পাঠিয়েছে। কেন্দ্র তাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছু বলার নেই। আর ওই মামলায় জামিনে রয়েছেন তোফাজ্জল।’