বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নৌকাকে ‍আ. লীগের, ধানের শীষকে বিএনপি নেতার চ্যালেঞ্জ

  •    
  • ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ১০:৪১

সুনামগঞ্জের দিরাই পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে সক্রিয় আওয়ামী লীগের দুই জন, বিএনপির এক জন। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একে অপরকে মোকাবিলার ক্ষেত্রে বেশি চিন্তিত দলের বিদ্রোহ নিয়ে।

সুনামগঞ্জের দিরাই পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীককে চ্যালেঞ্জ করছেন আওয়ামী লীগেরই দুই নেতা। ফলে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিকে মোকাবিলায় ক্ষমতাসীন দল পড়েছে বেকায়দায়।

অবশ্য বিদ্রোহী আছে বিএনপিতেও। দলের সিদ্ধান্ত না মেনে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন এক নেতা।

২৮ ডিসেম্বরের এই ভোটকে সামনে রেখে দলীয় প্রার্থীকে না মেনে লড়াইয়ে নেমেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য বিদায়ী মেয়র মোশাররফ মিয়া এবং দিরাই পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক সফিকুল ইসলাম।

ধানের শীষকে চ্যালেঞ্জ করে ভোটের মাঠে আছেন উপজেলা বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাইয়ুম।

এই নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী রয়েছেন আট জন।

নৌকা প্রতীক পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিশ্বজিৎ রায়। দলের এক বিদ্রোহী মোশাররফ মিয়া পেয়েছেন জগ আর সফিকুল ইসলাম পেয়েছেন হেলমেট প্রতীক।

ধানের শীষ নিয়ে লড়াইয়ে বিএনপির প্রার্থী ইকবাল হোসেন। দলের বিদ্রোহী আব্দুল কাইয়ুম প্রতীক পেয়েছেন চামচ।

অন্য প্রার্থীরা হলেন লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির অনন্ত মল্লিক ও খেজুর গাছ প্রতীকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মওলানা লোকমান আহমদ এবং মোবাইল ফোন প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী রশিদ মিয়া।

পৌরসভায় সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রার্থী রয়েছেন।

চায়ের দোকান থেকে শুরু করে হাটবাজারে এখন নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে। বেশি আলোচনা হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী এবং দুই দলের বিদ্রোহীদের নিয়ে।

সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রভাষক মোস্তাহার মিয়া মোস্তাক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অনেক দিন পর পৌর এলাকায় নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে। উৎসব ভাব দেখা যাচ্ছে। বিগত সময়ের থেকে এবার মেয়র প্রার্থীর সংখ্যা বেশি। তবে আমরা সৎ ও পৌরসভা উন্নয়নে কাজ করবেন, সাধারণ নাগরিকের দুঃখে পাশে থাকবেন এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করে যাবেন- এমন প্রার্থীকেই ভোট দেব।’

পৌরসভার সাধারণ ভোটার ক্রিকেটার রফি রহমান বলেন, ‘মেয়র পদে কাকে ভোট দেবো এখনও ঠিক করতে না পারলেও সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দিব ইনশাল্লাহ।’

আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিশ্বজিৎ রায় বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে এবং দিরাইয়ের মানুষও আমাকে গ্রহণ করেছে। আমি সবার সাথে কথা বলেছি। সবার পাশে যাচ্ছি। আমি শতভাগ বিশ্বাসী, আমাকে মানুষ ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী মোশারফ মিয়া আমাকে বিভিন্ন রকমের হুমকি দিচ্ছেন যে তিনি ভোটের পরে দেখে নিবেন এবং তিনি কালো টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করছেন। আমি নির্বাচন অফিসকে জানিয়েছি।’

তবে মোশাররফ মিয়া বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে সবকিছু ভালো রয়েছে। আমার প্রচার-প্রচারণা ভালো। আমাকে কেউ বাধা দিচ্ছেন না, আমিও কাউকে বাধা দিচ্ছি না। আমি ৩৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেছি এবং উপজেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছি। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে হয়েছে জনগণের জন্য। আমাকে আমার পৌরসভার মানুষজন দাঁড় করিয়েছে। আমি আশাবাদী, আমার জনগণই আমাকে জয়যুক্ত করবে।’

বিশ্বজিৎ রায়ের অভিযোগ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘সে আমার ছোটভাই। প্রথমবারের মতো মেয়র পদে নির্বাচন করছে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে। আমার তাকে কোনো রকমের হুমকি দেয়ার প্রশ্নই আসে না। টাকার বিষয়টা একদম মিথ্যা।’

বিএনপির প্রার্থী ইকবাল হোসেন বলেন, ‘ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে আমি পৌরসভার মানুষদের কাছে গিয়ে ভোট চাচ্ছি। আমি আশাবাদী সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হলে ও সাধারণ মানুষের দোয়ায় আমি জয়যুক্ত হব। এখন পর্যন্ত প্রচার ও প্রচারণায় কোনো রকমের সমস্যা হয়নি। কেউ আমাকে হুমকি দেননি।’

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষদের নিয়েই থাকতে চাই। আমি মানুষদের কাছে যাচ্ছি এবং তারাও সাড়া দিচ্ছেন। তবে আমাকে কোনো প্রার্থী কোনো রকমের হুমকি দেননি। আমি ৮০ ভাগ আশাবাদী, যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে জয়ী হব।’

১৭টি গ্রাম নিয়ে গঠিতে এ পৌরসভায় মোট ভোটার ২১ হাজার ৩৭৯ জন। পুরুষ ভোটার ১০ হাজার ৫৫২ জন এবং নারী ভোটার ১০ হাজার ৮২৭ জন।

উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক বলেন, ‘দিরাই পৌরসভায় ইভিএমের মাধ্যমে ভোট নেয়া হবে। আমরা সব রকমের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। এখন পর্যন্ত নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। এলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

এ বিভাগের আরো খবর