কুড়িগ্রাম পৌরসভা নির্বাচনে দলের মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম বেবুর পক্ষে প্রচার চালালেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত তিনি পৌর এলাকায় দাদা মোড় ও ঘোষপাড়া এলাকায় ধানের শীষের পক্ষে জনসংযোগ করেন।
বিএনপি নেতা ভোটারদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেন আর উন্নয়ন চাইলে ধানের শীষে ভোট চাওয়ার আহ্বান জানান।
রিজভীর বাড়ি কুড়িগ্রাম শহরের সর্দার পাড়া এলাকায়। ফলে এই নির্বাচনে তার মনযোগ আছে।
আগামী ২৮ ডিসেম্বরের ভোটকে সামনে রেখে কুড়িগ্রামে প্রচারে ব্যস্ত পাঁচ মেয়র প্রার্থী।
বিএনপির বেবু ছাড়া অন্যরা হলেন নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের কাজীউল ইসলাম, জগ মার্কায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সাইদুল হাসান দুলাল, নারকেল গাছ প্রতীকে বিএনপির বিদ্রোহী আবু বকর সিদ্দিক এবং হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলনের আবদুল মজিদ।
গত নির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লীগের আবদুল জলিল এবার দলের মনোনয়ন পাননি। তিনি নির্বাচন থেকে দূরে আছেন।
দুই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় এই পৌরসভায় বাড়তি মনযোগ তৈরি হয়েছে। বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার আগে বিএনপির আমলে মেয়র ছিলেন। তিনি ভোটের লড়াইয়ে বেশ ভালোভাবেই আছেন। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি উঠে আসতে পারবেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর অবস্থান দুর্বল।
ফলে সেখানে নৌকা ও ধানের শীষেই মূল লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এরশাদ সরকারের আমল থেকে কুড়িগ্রামে জাতীয় পার্টির শক্তিশালী অবস্থান থাকলেও এবার দল সেখানে প্রার্থী দেয়নি। দলের নেতা-কর্মীরা সেখানে নৌকা মার্কার পক্ষে কাজ করছেন।
এই পৌরসভায় ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে, যার সমালোচনা করেছেন রিজভী।
জনসংযোগ শেষে শহরের এন আর প্লাজা মার্কেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি নেতা।
তার অভিযোগ, ‘ইভিএম পদ্ধতি একটি জালিয়াতি পদ্ধতি। দূর থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে হ্যাক করার সুযোগ থাকে।’
রিজভীর অভিযোগ, সরকারদলীয় প্রার্থী নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ করছেন। কিন্তু ব্যবস্থা না নিয়ে প্রশাসন তাকে সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে।