গোপালগঞ্জ সরকারি শিশু পরিবার থেকে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে গোসলখানা থেকে ১২ বছরের জোবায়ের খানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জোবায়ের গোপালগঞ্জ শিশু কল্যাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ত। তার বাড়ি নড়াইলের লহাগড়া উপজেলার কড়াগাতি গ্রামে। শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে জোবায়েরকে।
জোবায়েরের সহপাঠী সাজেদুর শেখ বলেন, ‘আমার একটা শীতের পোশাক ধুতে হবে তাই আমি আগে গোসল করতে ঢুকি। তখন অপেক্ষা করছিল জোবায়ের। ভারী পোশাক শুকাতে আমি তাকে রেখে নিচে যাই। কিছুক্ষণ পর এসে দেখি গোসলখানার ভেতরে কাপড় রাখার বাঁশের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে জোবায়ের ঝুলছে। তখন আমি সাগর ভাই ও রমজান ভাইকে ডেকে নিয়ে আনি। রমজান ভাই জোবায়েরকে উঁচু করে ধরলে গামছা কেটে দেই। পরে স্যারদের ডেকে আনি।’
মৃত জোবায়েরের খালা নাসরিন আক্তার বলেন, জোবায়ের যখন ছোট তখন ওর বাবা তার মাকে ছেড়ে চলে যায়। সংসার চালাতে না পেরে ছেলেকে সরকারি শিশু পরিবারে দেন। আজ তার মায়ের কোল খালি হয়ে গেল। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমার ভাগনেকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার অনুরোধ করছি।’
সরকারি শিশু পরিবারের তত্ত্বাবধায়ক মোশররফ হোসেন বলেন, ‘বাইরে থেকে এসে আমি জানতে পারি এখানে একটি ছেলের সমস্যা হয়েছে। আমরা তখন তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমি জানি না এটা কীভাবে ঘটল। তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।’
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানে হয়েছে। রিপোর্ট পেলে বলা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।’