চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে আগামী ৮ জানুয়ারি।
নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, করোনার কারণে তিন দফা চসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ পেছানো হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের দেয়া তফসিল অনুযায়ী ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচনের ভোট নেয়া হবে। ৮ জানুয়ারি থেকে প্রার্থীরা প্রচারণা শুরু করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘কয়েকবার তারিখ ঘোষণার কারণে অনেক প্রার্থী তাদের নির্বাচনী এলাকায় পোস্টার লাগিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী প্রচারণা শুরুর আগে লিফলেট বিলি বা পোস্টার লাগাতে পারে না। এসব লিফলেট পোস্টার সরিয়ে ফেলতে প্রশাসনকে চিঠি দেয়া হয়েছে।’
মঙ্গলবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে লিফলেট-পোস্টার সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই তফসিল অনুযায়ী ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণের কথা ছিল।
করোনা মহামারির কারণে নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে গত ২১ মার্চ প্রথম দফায় ও ১৪ জুলাই দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের মেয়াদপূর্তির পর ৫ আগস্ট নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজনকে চসিক প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার। আগামী বছর ৫ ফেব্রুয়ারি প্রশাসকের মেয়াদ শেষ হবে।
চসিক নির্বাচনে অংশ নেয়া এবং প্রতীক পাওয়া প্রার্থীদের মধ্যে এক জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও তিন জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী মারা গেছেন। তারা হলেন- ১৭, ১৮ ও ১৯ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী সাহিদা বেগম পারভীন, ৩০ নং (পূর্ব মাদারবাড়ি) ওয়ার্ডের প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, ৩৭ নং (উত্তর-মধ্যম হালিশহর) ওয়ার্ডের হোসেন মুরাদ ও ৪০ নং (উত্তর পতেঙ্গা) ওয়ার্ডের মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন।
ওই চার ওয়ার্ডে নতুন তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ওয়ার্ডের প্রার্থীদের মধ্যে আগামী ৮ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে।