অটোরিকশা ছিনতাই করতেই চালক রনি মিয়াকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামি সোমবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গেল ১৭ ডিসেম্বর ছয়বাড়িয়া গ্রাম থেকে বালু চাপা অবস্থায় রনির (১৪) অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার হয়। পরে তাকে শনাক্ত করেন স্বজনেরা।
ওসি জানান, ১২ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন রনি। এ ঘটনায় শুরুতে তার বাবা মজলিশপুর গ্রামের দুলাল মিয়া জিডি করেন। মরদেহ উদ্ধারের পর তা মামলা হিসেবে দেখানো হয়।
মামলায় বলা হয়, জাকির হোসেন ও সোহেল মিয়াসহ কয়েকজন রনি মিয়ার অটোরিকশা ভাড়া করে ছয়বাড়িয়া গ্রামের নির্মাণাধীন একটি আবাসন প্রকল্প (ডিসি প্রজেক্ট) এলাকায় যান। এক পর্যায়ে চালকের হাত-পা বেঁধে ছুরিকাঘাত করেন তারা। পরে মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় রনিকে।
হত্যার পর মরদেহ প্রজেক্টের ভেতরে বালি চাপা দেয়া হয়। পরে তারা অটোরিকশা ও রনির মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যান।
তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে গত ২০ ডিসেম্বর রাতে সদর উপজেলার নন্দনপুর এলাকা থেকে দুই আসামিকে জাকির ও সোহেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সদর উপজেলার মজলিশপুর গ্রামে বাড়ি জাকির হোসেনের এবং সরাইল উপজেলার ইসলামাবাদ (গোগদ) গ্রামে বাড়ি সোহেল মিয়ার।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রহিম বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।’