হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে টমটমচালক হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যার প্রায় দেড় বছর পর নিহতের তিন বন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
সোমবার রাতে নিজ কার্যালয়ে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ উল্ল্যা।
এসপি জানান, গত বছরের ১৭ জুলাই চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গহীন অরণ্য থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহটির প্রায় ৯০ শতাংশ পচে যাওয়ায় ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। সেই পরীক্ষায় জানা যায়, মরদেহটি মাধবপুর উপজেলার বনগাঁও গ্রামের টমটম চালক মো. আলমগীরের (২১)।
ওই ঘটনায় পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয় কয়েক জনের নামে হত্যা মামলা করে।
সেই মামলার তদন্তে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে শুক্রবার চুনারুঘাট থানার কাছ থেকে আলমগীরের বন্ধু মুসলিম মিয়াকে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি জানান, ওই ঘটনায় আরও দুই জন জড়িত।
সেই তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ রোববার আলমগীরের আরও দুই বন্ধু সোহেল মিয়া ও রোকন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। পরে তারাও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তিন বন্ধুর জবানবন্দির বরাত দিয়ে এসপি মোহাম্মদ উল্ল্যা জানান, আলমগীরের টমটমটি ছিনতাই করার জন্য তিন বন্ধু মিলে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ‘ফূর্তি’ করার লোভ দেখিয়ে আলমগীরকে নিয়ে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের উদ্দেশে রওনা দেন আসামি সোহেল। মাঝপথে টমটমে ওঠেন রোকন ও মুসলিম উদ্দিন। পরে উদ্যানের ভেতর নিয়ে গলায় রশি পেঁচিয়ে আলমগীরকে হত্যা পর টমটমটি নিয়ে সটকে পড়েন তারা।
তবে দেড় বছর আগের হওয়ায় আলমগীরকে কবে হত্যা করা হয় তা বলতে পারেননি আসামিরা। তারা জানিয়েছেন, লাশ উদ্ধারের সাত থেকে ১০ দিন আগে হত্যাকাণ্ডটি হতে পারে।