আদালতে হাজিরা দিয়ে সকাল থেকে নিখোঁজ থাকার পর সন্ধ্যায় ভিন্ন জেলায় পাওয়া গেছে এক যুবকের মরদেহ।
বগুড়ার শিবগঞ্জের বাসিন্দা শিমুলের (৩০) মরদেহ সোমবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুলপুকুরিয়া এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি ধর্ষণসহ কয়েকটি মামলার আসামি।
মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান।
তিনি জানান, শিমুল গণধর্ষণসহ একাধিক মামলার আসামি। তার মরদেহ শিবগঞ্জের ময়দানহাটা এলাকা পাশের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুলপুকুরিয়া গ্রামে পাওয়া গেছে।
শিমুলের ভাই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রায়হান জানান, শিমুল সকালে বগুড়ার আদালতে হাজিরা দিতে যায়। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। সোমবার সন্ধ্যার দিকে তিনি মরদেহ উদ্ধারের সন্ধান পান।
রায়হানের বরাতে ওসি জানান, শিমুল আদালতে সাক্ষী দিয়ে আসার পথে টেংরা বাজার এলাকায় বিহার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিদুলের সঙ্গে দেখা হয়। পরে মহিদুল শিমুলকে নিয়ে যান। এরপর সন্ধ্যার দিকে তার মৃতদেহ পাওয়ার খবর আসে।
ওসি বলেন, ‘ইউপি সদস্য রায়হানের বক্তব্যের ভিত্তিতে টেংরাবাজার থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেটি আমরা খতিয়ে দেখব।’
ওসি বদিউজ্জামান বলেন, ‘মরদেহ গোবিন্দগঞ্জের সীমানায় পাওয়া গেছে। এ জন্য ওই থানার ওসিকে বিষয়টি জানানো হয়। তারা ফোর্স পাঠিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।’
মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি একেএম মেহেদী হাসান নিশ্চিত করে জানান, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে শিমুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লাশের দু’পায়ের রানে ধারালো ও চোখা কিছু দিয়ে খোঁচানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে শিমুল অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা গেছেন।
ঘটনা তদন্ত হচ্ছে বলে জানান ওসি।