মরমি কবি ও সাধক হাসন রাজাকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আরও পরিচিত করাতে তার গানের চর্চার আয়োজন করার কথা জানিয়েছেন বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান।
করোনা মহামারিতে নয় মাস বন্ধ থাকার পর সোমবার বিকেলে হাসন রাজার ১৬৬তম জন্মাবার্ষিকীতে তার মিউজিয়ামটির পুনঃউদ্বোধন শেষে এমন কথা জানান তিনি।
বন্ধ ও সংস্কার শেষে মিউজিয়ামটি সোমবার থেকে সবার জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনাথীরা এখন থেকে মরমি কবি ও সাধক হাসন রাজার জাদুঘরটি দেখতে পারবেন।
উদ্বোধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘সিলেটের পরিচয় দিতে হলে হাসন রাজার নাম সবার আগে আসে। বিশ্বে যারা সংস্কৃতি চর্চা করেন তারা সবাই তার নাম জানেন। কিন্তু হাসন রাজার প্রচার দিনদিন কমে যাচ্ছে।
‘পরিবারের যারা বেঁচে আছেন তারা চলে যাওয়ার আর হাসন রাজার নাম নেয়ার মতো কেউ থাকবে না। এটি হতে দেয়া যায় না, হাসন রাজাকে যুগ যুগ ধরে পরিচিত করে রাখতে হবে আগামী প্রজন্মের কাছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি, আমার এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের মাধ্যমে হাসন রাজার সকল কর্মকাণ্ড ও সবকিছু সারাবিশ্বের বাঙালির কাছে তুলে ধরব। হাসন রাজা এখানে অনেক কিছুই আছে যা মিডিয়ায় প্রচার করা প্রয়োজন। তার কথা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আরও বেশি করে তুলে ধরতে ১৬৭তম জন্মবার্ষিকীতে বিরাট মেলা ও তার গান চর্চার আয়োজন করা হবে। যতটুকু করা প্রয়োজন হবে আমি করব।’
হাসন রাজার প্রচার আরও বাড়ানোর কথা বলেছেন এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান। ছবি: নিউজবাংলাহাসন রাজার পৌপুত্র সামারীন দেওয়ানের সঞ্চালনায় উদ্বোধনে বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও হাসন রাজার আরেক পৌপুত্র দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন।
করোনা পরিস্থিতির বিষয়ে সামারীন দেওয়ান বলেন, ‘মিউজিয়াম খুলে দিলেও স্বাস্থ্য সচেনতায় গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা। কেউ মিউজিয়ামে প্রবেশ করার আগে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে ও স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে নিতে হবে।’
১৮৫৪ সালের ২১ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ শহরের লক্ষ্মশ্রীর জমিদার দেওয়ান আলী রাজা চৌধুরী ও হুরমত বিবির ঘরে জন্ম নেন দেওয়ান হাসন রাজা চৌধুরী। হাসন রাজা নামে সবার কাছে পরিচিত।
তার গানে উঠে এসেছে স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধা, স্রষ্টার আধ্যাত্মিক ক্ষমতা, ভোগ-বিলাস নিয়ে তার ভাবনা।