দাফনের প্রায় দুই মাস পর আদালতের নির্দেশে সোমবার দুপুরে দেলোয়ার হোসেনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়েছে।
কক্সবাজারের রামু উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার উদ্দীনের নেতৃত্বে মরদেহটি তোলা হয়।
৩৫ বছর বয়সী দেলোয়ার কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকার বাসিন্দা। তিনি জায়গাজমি কেনাবেচার দালালির কাজ করতেন। ২৯ অক্টোবর উপজেলার মিঠাছড়ির শ্বশুরবাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
দেলোয়ারের ছোট ভাই সরওয়ার কামাল নিউজবাংলাকে জানান, তারা গিয়ে দেখেন দেলোয়ারের মরদেহটি রান্নাঘরে পড়ে আছে। পরে মরদেহ কলাতলী এনে দাফন করা হয়।
সরওয়ার এ ঘটনায় ১ নভেম্বর পাঁচ জনের নামে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রামু-১ এ হত্যা মামলা করেন।
আসামিরা হলেন- নিহত দেলোয়ারের শাশুড়ি দিলদার বেগম, স্ত্রী খতিজা বেগম, শালা রাহাত উল্লাহ, সালামত উল্লাহ ও শালী রুভি আক্তার।
শালীর সঙ্গে পরকীয়া ও তার টাকা পয়সা নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে হত্যা করা হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন মামলার বাদী সরওয়ার কামাল।
এই মামলা তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দায়িত্ব দেয় আদালত। দেড় মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে সোমবার আদালতের নির্দেশেই দেলোয়ারের মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়।
সিআইডি পরিদর্শক মনির হোসেন জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।