ঝালকাঠির আদালত চত্বরে ধর্ষণ মামলার এক আসামির সঙ্গে তরুণীর বিয়ে হয়েছে।
ঝালকাঠির অবকাশকালীন জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল্লাহর নির্দেশে রোববার দুপুরে দুই পক্ষের উপস্থিতে বিয়ে পড়ান নিকাহ রেজিস্ট্রার মো. সৈয়দ বশির।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বর হলেন বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগাতি গ্রামের নাঈম সরদার। কনের বাড়ি ঝালকাঠির একটি গ্রামে। বিয়ের পর আসামি নাঈমকে জামিন দেন বিচারক মো. শহিদুল্লাহ।
পিপি আব্দুল মান্নান রসুল জানান, ঝালকাঠি সদর উপজেলার ওই তরুণী ৮ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নালিশী মামলা করেন। বিচারক তার অভিযোগ ঝালকাঠি থানায় এফআইআর হিসেবে রেকর্ডের নির্দেশ দেন ।
১২ নভেম্বর ঝালকাঠি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯ (১) ধারায় এফআইআর রেকর্ড হলে একমাত্র আসামি নাঈমের বাবা আনোয়ার হোসেন তার ছেলেকে ১৩ নভেম্বর ঝালকাঠি থানায় সোপর্দ করেন। পরে নাঈমকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
রোববার অবকাশকালীন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসামির জামিন শুনানির সময় আসামি পক্ষ ওই তরুণীকে বিয়ের আগ্রহ প্রকাশ করলে এবং বাদী পক্ষও এ প্রস্তাবে রাজি হলে বিচারক শহিদুল্লাহ আদালত চত্বরেই পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ের নির্দেশ দেন।
আদালত চত্বরে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আদালতে কাগজপত্র জমা দিলে শুনানি শেষে ২০ হাজার টাকা বন্ডে আসামিকে জামিন দেয় আদালত।
বর নাঈম পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান। ২০১৯ সালের প্রথম দিকে ওই তরুণীর সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার পরিচয় ও পরে ঘনিষ্ঠতা হয়। নাঈম ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে কৌশলে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে।