সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে ফেরার পথে মাঝসাগরে পর্যটকবাহী ‘এসটি ভাষা শহীদ সালাম’ জাহাজের ইঞ্জিন বিকল হয়ে আটকা পড়েছিল। পরে জাহাজের প্রায় ২০০ পর্যটককে উদ্ধার করে ফের সেন্টমার্টিনে নেয়া হয়েছে।
রোববার বিকেল ৪টার দিকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে চলাচলকারী ‘এসটি ভাষা শহীদ সালাম’ নামের পর্যটকবাহী জাহাজটি এই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
পরে জাহাজের যাত্রীরা জাতীয় জরুরি নম্বর ৯৯৯-এ কল করে সহায়তা চান।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জাহাজ বিকলের খবর নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘মাঝসাগরে বিকল হওয়ায় জাহাজের পর্যটকরা টেকনাফে ফিরতে পারেননি। তবে তারা সবাই দ্বীপে নিরাপদে আছেন।’
দ্বীপে ভ্রমণে যাওয়া জুয়েল নামের এক পর্যটক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জাহাজটি হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ধীরে ধীরে মিয়ানমার জলসীমার দিকে ভেসে যাচ্ছে দেখে আতঙ্কিত পর্যটকদের মধ্যে কয়েকজন জাতীয় সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করে সহযোগিতা চান।
‘পরে সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ড, পুলিশ ও নৌবাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টায় আলাদা ট্রলার ও স্পিডবোটে করে পর্যটকদের রাত ৮টার দিকে সেন্টমার্টিনে নিয়ে আসেন।’
তিনি আরও জানান, জেটি থেকে ছেড়ে আসার আধা ঘণ্টা পর জাহাজটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে জাহাজের নাবিকরা ইঞ্জিন মেরামতে ব্যর্থ হন। এ সময় জাহাজের অনেক নারী ও শিশু পর্যটক ভয়ে কান্নাকাটি করেন। জাহাজটিতে দুই শতাধিক পর্যটক ছিল।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দ্বীপ থেকে দুই শতাধিক পর্যটক নিয়ে একটি জাহাজ টেকনাফে ফেরার পথে সাগরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। পরে স্পিডবোট ও ট্রলারে করে পর্যটকদের উদ্ধার করে সেন্টমার্টিনে নিয়ে আসা হয়েছে।’
রাতে ‘এসটি ভাষা শহীদ সালাম’ জাহাজের টেকনাফের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ করিম নিউজবাংলাকে জানান, আড়াইশ পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা হয় জাহাজটি। কিছু যাত্রী রাতে সেন্টমার্টিনে অবস্থান করে। বাকি পর্যটক নিয়ে বিকেলে ফেরার পথে জাহাজের ইঞ্জিন (গিয়ার) বিকল হয়ে পড়ে। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’