করোনা মহামারির এ সময়ে অসহায় মানুষের কল্যাণে নিজের ছয় মাসের বেতনের টাকা জমিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা দিলেন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের স্কুলশিক্ষক অলুপ কুমার রায়।
রোববার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রামকৃষ্ণ বর্মনের হাতে এক লাখ ৩৮ হাজার টাকার চেক তুলে দেন শিক্ষক অলুপ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলার বিএম বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ননী গোপাল রায়, শিক্ষক অলুপের মেয়ে অনুশ্রী রায় এবং ছেলে অরণ্য রায়।
বিএম বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অলুপ কুমার রায় বলেন, ‘কোনো কিছু পাওয়ার আশায় আমি প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এই টাকা প্রদান করিনি। মূলত করোনাকালে অসহায়দের সাহায্যে এ টাকা দিয়েছি।’
তবে গোবিন্দগঞ্জে করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র ও পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছেন তিনি।
শিক্ষক অলুপ কুমার রায়ের এ কাজে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ইউএনও রামকৃষ্ণ বর্মন বলেন, ‘সমাজের প্রতিটি বিত্তবান মানুষের উচিত অভাবীদের পাশে দাঁড়ানো। এ চেক প্রদান করে তিনি গোবিন্দগঞ্জের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন।’
অলুপ কুমারের এ অনুদানের অর্থ দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে জমা করা হবে বলেও জানান ইউএনও।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে টাকা জমা দিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন শেরপুরের ভিক্ষুক নাজিম উদ্দিন। ভিক্ষাবৃত্তি করে নিজের বসতঘর মেরামতের জন্য দুই বছরে জমানো ১০ হাজার টাকা করোনায় বিপর্যস্ত কর্মহীন ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ত্রাণ তহবিলে জমা দেন নাজিম।
বিষয়টি গণমাধ্যমে উঠে আসলে তার দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সরকারি জমিতে একটি ঘর ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি দোকান পেয়েছেন নাজিম। এছাড়া তার ভরণপোষণ এবং চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।