মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা। তাপমাপার পারদ নেমে গেছে অনেকটুকু। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির মতো ঝরছে ঘন কুয়াশা। হিমেল হাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।
বেলা বাড়লে কিছুটা সহনীয় হচ্ছে তাপমাত্রা। কিন্তু বেলা গড়ালেই নেমে যাচ্ছে পারদ। শীতের তীব্রতায় সন্ধ্যার পরই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে গ্রাম-শহর।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল হক জানান, রোববার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবারও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭.৫ ডিগ্রি। শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েক দিন থাকবে। সে ক্ষেত্রে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
তীব্র শীতে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও ছিন্নমূল মানুষ। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে তাদের।
চুয়াডাঙ্গা শহরে অসহায়দের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেন ডিসি নজরুল ইসলাম সরকার। ছবি: নিউজবাংলা
এদিকে শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ শুরু করেছে প্রশাসন। শনিবার রাতে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন ও সদর উপজেলার হাতিকাটা আবাসনে ২০০ মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নজরুল ইসলাম সরকার।
ডিসি জানান, শীতার্ত মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ২০ হাজার ৭০০ কম্বল ও ২৪ লাখ টাকা সহযোগিতা পাওয়া গেছে। এগুলো জেলার চার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের অনুকূলে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বরাদ্দ পাওয়া ২৪ লাখ টাকার কম্বল কিনে তাও বিতরণ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আরও চাহিদা পাঠানো হবে।
ডিসি আরও বলেন, ভৌগোলিক কারণে চুয়াডাঙ্গায় শীত ও গরম বেশি অনুভূত হয়। এখন শৈত্যপ্রবাহের কারণে কষ্টে আছে সাধারণ মানুষ।
ছিন্নমূল এসব মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
কম্বল বিতরণের সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসি (ল্যান্ড) ইসরাত জাহান, জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর আমজাদ হোসেনসহ অনেকেই।