১৩ বছর যাবত শিকলে বাঁধা জীবন কাটছে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক সোহেলের। অর্থাভাবে চিকিৎসা নেই। মা জাহানারা বেগম মনে করেন, চিকিৎসা হলে ভালো হয়ে যাবে সে।
সোহেলের বাড়ি জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের খায়েরপাড়া গ্রামে।
তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট ২৬ বছর বয়সী সোহেল। দুই বছর আগে মারা যায় তার বাবা আবু বক্কর সিদ্দিক।
জাহানারা বেগমের বড় মেয়ে থাকে স্বামীর সংসারে। মেজো ছেলে থাকে দেশের বাইরে। এখন মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেকে নিয়েই দিন কাটছে তার।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সোহেল ছোটবেলা থেকেই এমন। বয়স হওয়ার পর স্কুলে পাঠাইছি। স্কুলে থাকে নাই। আইসে আইসে পড়ছে। লেহাপড়া করে নাই। এইভাবে আট নয় বছর, দশ বার বছর গেছে। যাওয়ার পরে ডাক্তার দেহায়ছি। কোনো কাজ অয় নাই। তিন মাস পর পর দুই বছর চিকিৎসা করছি। করার পরে কোনো কাজেই আসলো না। উন্নতি পাইলাম না। তারপরে টুকটাক চিকিৎসার উপর থাকছি। পরে শিকল দিয়ে ১৩ বছর ধইরে বাইন্দে রাখছি।’
জাহানারা বেগম জানান, সন্তান যাতে হারিয়ে না যায়, সে কারণেই শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন তিনি।
স্বজন ও প্রতিবেশীরা জানান, ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা হলে হয়তো সোহেল ভালো হবে। পিতৃহীন সোহেলের সুচিকিৎসার জন্য সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা পেলে ভালো হতো।
সোহেলের বোনের স্বামী মো. তারা মিয়া বলেন, সোহেলের বৃদ্ধ মা মারা গেলে তাকে দেখার আর কেউ থাকবে না।
এ বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামিম আল ইয়ামিন নিউজবাংলাকে বলেন, প্রতিবন্ধী মানুষের পাশে দাঁড়ানো উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্ব। সোহেলের যে কোনো প্রয়োজনে উপজেলা প্রশাসন তার পাশে থাকবে।