লালমনিরহাটর পাটগ্রাম সীমান্তে ‘ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ছোড়া’ রাবার বুলটে বাংলাদশি যুবক মিলন হোসেন (৩৩) আহত হয়েছেন।
গুলিবিদ্ধ মিলন পাটগ্রাম পৌরসভার থানাপাড়া এলাকার সহিদার রহমানের ছেলে।
এ নিয়ে সীমান্তে গত ১০ দিনে তিনজন বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হলেন। এদের দুজনের মৃত্যু হয়।
এলাকাবাসী ও পাটগ্রাম উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার থানাপাড়া এলাকার মিলন হোসেন জগতবড় ইউনিয়নের আমবাড়ির ছিট এলাকায় সীমান্তের ৮৬০ নম্বর মেইন পিলারের ৭ নম্বর সাব পিলারের পাশ দিয়ে ভারতীয়দের সহায়তায় গরু আনতে যান। এ সময় ভারতের কোচবিহার জেলার ১৪০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বুড়াবুড়ি ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা রাবার বুলেট ছোড়েন। এতে মিলন হোসেন আহত হন।
সঙ্গীরা মিলনকে উদ্ধার করে রাত আড়াইটার দিক পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই রাতেই তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ওই সময় কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী আলমগীর হোসন বলেন, রাত আড়াইটার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মিলন নামের এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হয়। তার দুই চাখ ও মুখমণ্ডল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এ ব্যাপারে শনিবার সন্ধ্যায় শমসরনগর বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আজাহারুল ইসলামের মোবাইল ফোনে ফোন করলে তিনি খুব ব্যস্ত আছেন জানিয়ে সংযাগ কেটে দেন।
এদিকে, সীমান্তে গুলিতে নিহত জাহিদুল ইসলামের (২২) লাশ ৩ দিন পর শুক্রবার ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। গত বুধবার শ্রীরামপুর ইউনিয়ন সীমান্তের ৮৫২ নম্বর মেইন পিলার ও ৫ নম্বর সাব পিলারের পাশে গুলিবিদ্ধ হন জাহিদুল ইসলাম।
গত ১০ ডিসেম্বর ওই ইউনিয়নর ৮৪৪ নম্বর মেইন পিলার সীমান্তবর্তী এলাকায় বিএসএফের ছোড়া গুলিতে আবু তালেব (৩২) নামে গরু পারাপারকারী এক যুবক গুরুতর আহত হন। রংপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই দিন পর তার মৃত্যু হয়।