বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে গাজীপুরের টঙ্গীতে শেষ হলো ২০২০ সালের ২৪ ঘণ্টার জোড় ইজতেমা। মোনাজাতে করোনাভাইরাসের অতিমারি থেকে মুক্তি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করা হয়।
এ ছাড়া গত এক বছরের দাওয়াতি কাজের মূল্যায়ন, আগামী এক বছরের দাওয়াতি কাজের দিক-নির্দেশনা দেয়া হয় এ ইজতেমায়।
শনিবার বেলা ১২ থেকে মোনাজাত শুরু হয়ে ১২টা ২০ মিনিটে শেষ হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলীগে জামাতের শীর্ষ মুরব্বি ///মাওলানা ফারুক।
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক মুফতি জহির ইবনে মুসলিম জানান, আলমে শুরার তত্ত্বাবধানে এ জোড় ইজতেমা হয়। তাবলীগের মারকাজ (কেন্দ্রীয় তপ্তর) ঢাকার কাকরাইল জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা জোবায়ের আহমেদের অনুসারীরা এ ইজতেমায় অংশ নেন। মূলত ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও মানিকগঞ্জ- এ চার জেলার মোট ৪ হাজার তিন চিল্লার সাথীরা এ ইজতেমায় অংশ নিয়েছিলেন।
তিনি আরও জানান, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগামী বছরের ৮, ৯ ও ১০ জানুয়ারি প্রথম দফা ও ১৫, ১৬, ১৭ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় তাদের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এ বিশ্ব ইজতেমা বড় আয়োজনে নাকি সীমিত পরিসরে হবে অথবা আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মোনাজাতের পরই মুসল্লিরা নিজ এলাকার উদ্দেশে রওনা হন। তা ছাড়া, দেশ-বিদেশের দাওয়াতি কাজে চিল্লার জন্য তালিকাভুক্ত তাবলীগ জামাতের কর্মীরা নির্ধারিত গন্তব্যের পথে যাত্রা করেন।
টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে গত শুক্রবার সকাল ১০টায় শুরু হয় এই জোড় ইজতেমা।