বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হ্রদের জলে শাপলা হাসে

  •    
  • ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৬:৪৮

হ্রদে ফোটা শাপলা ফুলের সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন সকাল থেকে ভিড় জমাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। রাঙ্গামাটির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তো বটেই, শাপলা দেখতে পর্যটকরা আসছেন দেশের অন্য প্রান্ত থেকেও।

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার জুরাছড়ি উপজেলা সদরের কাপ্তাই হ্রদের জলে ফুটেছে শত শত শাপলা। জাতীয় এই ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে সেখানে প্রতিদিন ভ্রমণপিপাসু মানুষরা ভিড় করছেন।

কাপ্তাই হ্রদ এমনিতেই ভ্রমণপিপাসু মানুষদের জন্য এক আকর্ষণীয় স্থান। এর জলে রাশি রাশি সাদা শাপলা হাসছে। এটি বাড়তি আকর্ষণ। শান্ত নিরিবিলি হ্রদে ফুটে থাকা এসব শাপলা যেন পর্যটকদের হাতছানি দেয়।

হ্রদে ফোটা শাপলা ফুলের সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন সকাল থেকে ভিড় জমাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। রাঙ্গামাটির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তো বটেই, শাপলা দেখতে পর্যটকরা আসছেন দেশের অন্য প্রান্ত থেকেও।

রাঙ্গামাটির অন্য দুর্গম উপজেলার মধ্য জুরাছড়ি একটি। রাঙ্গামাটি শহর থেকে জুরাছড়ির দূরত্ব প্রায় ৫৭ কিলোমিটার। জেলা শহর থেকে লঞ্জে চড়ে যেতে সময় লাগে আড়াই ঘণ্টা। জুরাছড়ি যেতে নৌপথ ছাড়া আর কোনো মাধ্যম নেই।

নৌকায় চড়ে প্রতিদিন ঘুরতে আসছেন জেলা ও জেলার বাইরের অনেক মানুষ। পর্যটকের ভিড়ে জুরাছড়ি এখন সরগরম। শাপলা ফুলের সঙ্গে সেলফি তুলছেন অনেকে। কেউবা ভিডিও করছেন এই অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য।

ঘুরতে এসে শাপলার রূপ দেখে মুগ্ধ অদিতি চাকমা। তিনি বলেন, ‘আসলে পুরো রাঙ্গামাটি জেলাতে একসঙ্গে এত শাপলা ফুল কখনো দেখা যায়নি। কাপ্তাই হ্রদের জলরাশির সঙ্গে মিতালি হয়েছে শাপলার। মন ভরে গেছে। অদ্ভূত এক প্রশান্তি লাগছে।’

জুরাছড়ি সদরের সাংস্কৃতিক সংগঠন হিলর প্রোডাকশনের সহসভাপতি পারমিতা চাকমা বলেন, শাপলা ফুলের কারণে রাঙ্গামাটির অন্য দর্শনীয় স্থানের মতো জুরাছড়িও হবে ‘সিম্বল অফ রাঙ্গামাটি’।

জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা বলেন, জুরাছড়িতে এই প্রথম এত শাপলা একসঙ্গে ফুটেছে। ভারি সুন্দর দৃশ্য। এই শাপলা একদিন জুরাছড়ির সুনাম আনবে।

পর্যটকদের সুবিধার জন্য সরকারকে পর্যটন খাতের মাধ্যমে বড় ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর