জামালপুর সদরের দিগপাইত শামছুল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
জেলার কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের গঠন করা কমিটি এ কথা জানিয়েছে।
অধ্যক্ষ মহির উদ্দিন তালুকদারের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেছিলেন কলেজটির কৃষি ডিপ্লোমা বিভাগে চাকরিপ্রত্যাশী নূরে হুদা মোহাম্মদ আলী।
অধ্যক্ষ মহির উদ্দিন তালুকদার। ছবি: নিউজবাংলা
ওই কলেজে কৃষি ডিপ্লোমা বিভাগ চালু হয় ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষে। গত বছরের ২৩ অক্টোবর বিভাগটি এমপিওভুক্ত হয়। এর চার মাস আগে কলেজের অধ্যক্ষ হন মহির উদ্দিন তালুকদার।
অভিযোগে নূরে হুদা জানান, তিনি ওই বিভাগে একটি কর্মচারী পদে চাকরির জন্য আবেদন করেন। নিয়োগের জন্য ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ জুলহাসের মাধ্যমে তার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন অধ্যক্ষ মহির। তাতে রাজি না হওয়ায় ঘুষের বিনিময়ে সে পদে আরেকজনকে চাকরি দেয়া হয়।
নূরে হুদা বলেন, এ ঘটনার পর তিনি খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারেন, বেতন-ভাতা অনিয়মিত হওয়ায় বিভাগ শুরুর সময় নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীরা অন্যত্র চাকরি নিয়ে নেন।
দিগপাইত শামছুল ডিগ্রি কলেজ। ছবি: নিউজবাংলা
তিনি আরও বলেন, বিভাগটি এমপিওভুক্ত হওয়ার পর ঘুষের বিনিময়ে আগের ৭ শিক্ষক-কর্মচারীর নিয়োগপত্র জালিয়াতি করে নতুন ৭ জনকে সে পদে বসান অধ্যক্ষ মহির। পরে তাদের এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে।
এর পর এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২ জুলাই উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করেন নূরে হুদা। একই দিনে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগ করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ নভেম্বর তদন্ত শুরু করে অধিদপ্তরের কমিটি।
তবে এসব অভিযোগ নাকচ করেছেন অধ্যক্ষ মহির। তিনি বলেন, ‘একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ছড়িয়েছে।’
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান ও জেলা কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিমল কুমার মিশ্র জানান, অধ্যক্ষ মহির উদ্দিন তালুকদারের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, আরও কিছু অভিযোগের তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন শিগগিরই জমা দেয়া হবে।