চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে জেলায় ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিনই।
শনিবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল হক জানান, গত কয়েক দিন থেকে তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাঝে ওঠানামা করছে। কিন্তু হঠাৎ শুরু হয়েছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে ঠান্ডাজনিত রোগে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সাজিদ হাসান।
তিনি জানান, হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি। আন্তঃবিভাগ ও বহির্বিভাগে প্রতিদিনই গড়ে চিকিৎসা নিচ্ছে ২০০ জন রোগী।
এ পরিস্থিতিতে শিশু ও বয়স্কদের গরম কাপড় পড়াসহ বিশেষ যত্ন নেয়ার পরামর্শ দেন আরএমও।
জেলায় শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। বেলা বাড়লে কিছুটা সহনীয় হচ্ছে দিনের তাপমাত্রা। কিন্তু বেলা শেষে নেমে যাচ্ছে পারদ। সন্ধ্যায় ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে পুরো শহর।
প্রচণ্ড শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে তাদের।
চুয়াডাঙ্গার দৌলতদিয়াড়ের দিনমজুর আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘হঠাৎ করিই শীত পড়চে। শীতে কাজে যেতি পারচিনে। বেলা না হলি বাইরে যাওয়া যাচ্চি না।
‘সকালে আগুন পুয়াতি হচ্চি। এখন পর্যন্ত কেউ কম্বল দিইনি। তাই শীতে খুব কষ্ট পাচ্চি।’