কুষ্টিয়ায় ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম বিপ্লবী নেতা বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে ধামরাই উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার ধামরাইয়ের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে বাথুলি এলাকায় এ মিছিল করা হয়।
মিছিল শেষে ধামরাই উপজেলা যুবলীগের নেতা মোহাম্মদ জাকারিয়া দীপু বলেন, ‘অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠনে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল। সেই দেশে সংস্কৃতি শিল্প বিকাশের অবাধ সুযোগ রেখেই সংবিধান তৈরি করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতার ৫০তম বছরে এসে ফের মৌলবাদীদের এমন চোরের মতো কর্মকাণ্ড রুখতে আমাদের আরেকবার এক হতে হবে।’
তিনি আরও জানান, যারা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ চায় না, তারা সাম্প্রদায়িক কোনো রাষ্ট্রে চলে যাক। এখানে উগ্রতার স্থান নেই।
দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল আউয়াল রুবেল বলেন, ‘কুষ্টিয়া শহরে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা আমাদের লজ্জিত করেছে। দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক আন্দোলন এবং পাড়ায়-মহল্লায় পাঠাগার স্থাপন করতে হবে। মূলত অশিক্ষার জন্যই দেশে মৌলবাদীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।’
কুষ্টিয়ার পাঁচ রাস্তায় বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর নিয়ে তোলপাড়ের দুই সপ্তাহের মধ্যে ১৭ ডিসেম্বর রাতে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নে কয়া মহাবিদ্যালয় চত্বরে বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙা হয়।
২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর তার ভাস্কর্য উদ্বোধন করা হয়। বাঘা যতীনের জন্ম ১৮৭৯ সালে কয়া গ্রামের মামার বাড়িতে। তার পৈত্রিক নিবাস ঝিনাইদহে। তার আসল নাম যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।
১৯১৫ সালে ৩৬ বছর বয়সে ভারতের বালেশ্বর বুড়িবালামের তীরে ব্রিটিশদের সঙ্গে সশস্ত্র যুদ্ধে তিনি শহিদ হন।