চুয়াডাঙ্গার দর্শনার কেরু ও জয়পুরহাট চিনিকলের ২০২০-২১ বর্ষের আখ মাড়াই মৌসুম শুরু হয়েছে।
শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে কেরু কেইন কেরিয়ার প্রাঙ্গনে আখ মাড়াই উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন ও আলী আজগার টগর।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাঈদ।
অন্যদের মধ্যে অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস, উপজেলা চেয়ারম্যান আলী মুনসুর বাবু, দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, কেরুজ শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি তৈয়ব আলী, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, আখচাষি কল্যাণ সংস্থার সভাপতি আব্দুল হান্নান।মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাঈদ জানান, এবারের মৌসুমে কুষ্টিয়া জগতি চিনিকলের আখ মাড়াই করা হবে কেরু চিনিকলে। এ মৌসুমে এক লাখ ৫৪ হাজার টন আখ মাড়াই করে নয় হাজার ৬২৫ টন চিনি উৎপাদন করবে কেরুজ চিনিকল।
কেরু চিনিকলের নিজস্ব এক হাজার ৫৫০ একর জমিতে হয়েছে ২৪ হাজার টন আখ। কৃষকের ছয় হাজার ৯৮২ একর জমিতে রয়েছে ৯৪ হাজার টন আখ।
বন্ধ হওয়া কুষ্টিয়া চিনিকলের আওতার কৃষকদের ৩৬ হাজার টন আখ মাড়াই করা হবে কেরুজ চিনিকলে। এবারের মাড়াই দিবস নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৪ দিন। চিনি আহরণের গড় হার নির্ধারণ হয়েছে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।
জয়পুরহাট চিনিকল দেশের বৃহৎ চিনি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। চিনিকলের ডোঙ্গায় আখ নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে শুক্রবার থেকে মাড়াই শুরু হয়েছে।
মৌসুমের মাড়াই উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য সামছুল আলম দুদু।চিনিকল চত্বরে বিকেলে সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান রকেট, চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আবু বকর, আখচাষী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিনসহ অনেকে।
জয়পুরহাট চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আবু বকর জানান, এবার বন্ধ হওয়া রংপুরের শ্যামপুর ও গাইবান্ধার মহিমাগঞ্জ চিনিকলের আখসহ জয়পুরহাট চিনিকলে চলতি মৌসুমে এক লাখ ৬২ হাজার টন আখ মাড়াইয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে। চিনি উৎপাদন হবে ১০ হাজার ৬৯২ টন।
চিনি আহরণের শতকরা হার ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৬০ ভাগ। মিলগেটে এবারও প্রতি কুইন্টাল আখ ৩৫০ টাকা এবং বাইরের কেন্দ্রগুলো থেকে ৩৪৩ টাকা দরে কেনা হবে।