সম্পত্তির কারণেই কৃষক রিপনকে হত্যা করা হয় বলে বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তার ভাবি ফরিদা বেগম।
ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুজ্জামানের আদালতে তিনি জবানবন্দি দেন।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম নিউজবাংলাকে জানান, ৯ ডিসেম্বর উপজেলার চর রূপদাহ গ্রামের রিপন হোসেন বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। ১৬ ডিসেম্বর সকালে বাড়ির পাশের ডোবা থেকে তার মাটিচাপা দেয়া মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই দিনই ফরিদা বেগমকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাবাদের পর বৃহস্পতিবার হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি।
ওসি আরও জানান, ৯ ডিসেম্বর রাতে সম্পত্তির জন্য স্বামী-স্ত্রী মিলে রিপনকে বাড়িতেই হত্যা করেন। তার পা চেপে ধরেন ফরিদা। আর তার স্বামী রান্নু গলা টিপে রিপনকে হত্যা করেন। এরপর রিপনের পেটে কোপ দেয়া হয়। ভোরে বাড়ির পাশের ওই ডোবায় মরদেহটি মাটিচাপা দেয়া হয়।
রিপন নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় তার স্ত্রী সোহাগি বেগম পর দিন শৈলকুপা থানায় অপহরণ মামলা করেন।