বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘মনগড়া চিকিৎসা সনদ’: ৬ চিকিৎসকের নামে মামলা

  •    
  • ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ২৩:১৪

আসামিরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার এ বি এম মুছা চৌধুরী, ডা. মির্জা মো. সায়েফ, ডা. মো. সোলাইমান মিয়া, ডা. মো. ফাইজুর রহমান, ডা. খান রিয়াজ মাহমুদ ও ডা. রানা নূরুস শামস।

সত্য গোপন করে মনগড়া চিকিৎসা সনদ দেয়ার অভিযোগে ২৫০ শয্যার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের ছয় জন চিকিৎসকের নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আদালতে মামলা হয়েছে।

সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ গ্রামের একটি মারামারির ঘটনায় জখম ব্যক্তিদের প্রকৃত চিত্র গোপন করে মনগড়া চিকিৎসা সনদ দেয়ার অভিযোগে সাজন রবিদাস নামের এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার সকালে মামলা করেন।

আসামিরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার এ বি এম মুছা চৌধুরী, ডা. মির্জা মো. সায়েফ, ডা. মো. সোলাইমান মিয়া, ডা. মো. ফাইজুর রহমান, ডা. খান রিয়াজ মাহমুদ ও ডা. রানা নূরুস শামস।

বাদী সাজন রবিদাস নিউজবাংলাকে বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে প্রতিপক্ষের হামলায় তিনিসহ আট জন গুরুতর জখম হন। এ ঘটনায় তার ছেলে কলেজছাত্র মিঠুন রবিদাস বাদী হয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর ১৬ জনের নামে সরাইল থানায় মামলা করেন। এই মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক এ বি এম মুছা চৌধুরী, মির্জা মো. সায়েফ ও সোলাইমান মিয়া পরস্পর যোগসাজশে এবং আসামিদের পক্ষে প্রভাবিত হয়ে ২০ সেপ্টেম্বর আদালতে সাদামাটা চিকিৎসা সনদ দেন।

তিনি আরও বলেন, এসব চিকিৎসা সনদের বিরুদ্ধে মামলার মিঠুন রবিদাস নারাজি আবেদন করলে আদালত ৪ নভেম্বর এক আদেশে সিভিল সার্জনের মাধ্যমে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে তিন দিনের মধ্যে আবার চিকিৎসা সনদ দেয়ার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসককে নির্দেশ দেন।

কিন্তু আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী হাসপাতালের চিকিৎসক ফাইজুর রহমান, খান রিয়াজ মাহমুদ ও রানা নূরুস সামস দ্বিতীয় দফা চিকিৎসা সনদও আগের সনদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ৩ ডিসেম্বর আদালতে জমা দেন। এ কারণে তিনি তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা

করেন।

ওই হামলায় গুরুতর আহত সাজন রবিদাস দীর্ঘদিন ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রানা নূরুস শামস বলেন, ‘শুনেছি আদালতে মামলার আবেদন করেছে। আমার যা বলার আদালতেই বলব।’

এ বিভাগের আরো খবর