বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হিজলায় সংঘর্ষ: আ.লীগ-ছাত্রলীগের ৫ শ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

  •    
  • ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৮:৩৭

৫০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং সাড়ে ৪ শ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে হিজলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক খান মামলা করেন।

বরিশালের হিজলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

পুলিশ বাদী এ মামলার আসামিরা সবাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নিউজবাংলাকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্কর্তা (ওসি) অসীম কুমার সিকদার।

ওসি জানিয়েছেন, ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং সাড়ে ৪ শ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে হিজলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক খান মামলা করেন।

১৫ ডিসেম্বর রাতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে হামলার শিকার হন পুলিশ সদস্যরা।

পুলিশ জানিয়েছে, আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা লোকমান সিকদার, কাজল হোসেন রাঢ়ী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তানভীর, সহসাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বড়জালিয়া ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি বশির আহম্মেদ, ছাত্রলীগ নেতা জিদান হাওলাদার, যুবলীগ নেতা নিজাম সরদার প্রমুখ।

১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় স্থানীয় সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথের অনুসারী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোলায়মান হোসেন শান্ত উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগমের ছেলে নাইমের সঙ্গে তার মোটরসাইকেলে খুন্না বন্দর থেকে উপজেলা সদরে যাচ্ছিলেন। খুন্নাগোবিন্দপুর এলাকা অতিক্রমের সময় সেখানে উপস্থিত বিরোধী পক্ষের উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ টিপুর অনুসারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তানভির ও তার দলবল তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে শান্ত ও নাইম আহত হন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে আহত দুই জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পাশাপশি তাদের মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

এদিকে হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে পঙ্কজ দেবনাথের অনুসারীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জড়ো হতে শুরু করেন। উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পাল্টা জড়ো হন টিপুর অনুসারীরা। উভয় পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা ও দেশি অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে জড়ো হলে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কিন্তু এরপরও রাত সোয়া ১০টার দিকে দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটা করে ও পাঁচটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

সংঘর্ষের ঘটনায় হিজলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম তারেক ও চার পুলিশ কনস্টেবলসহ অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। ভাঙচুর করা হয় পাঁচটি মোটরসাইকেল। আহত পুলিশ সদস্যদের দুই জনকে হিজলা এবং এক জনকে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর