নওগাঁর মান্দায় এক স্কুলছাত্রী হারপিক খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যার আগে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে এক ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে।
আত্মহত্যা চেষ্টার ১১ দিন পর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরী বুধবার সন্ধ্যায় মারা গেছে।
উপজেলার একটি স্কুলের দশম শ্রেণিতে পড়ত মেয়েটি।
সন্দেহভাজন যুবক একই এলাকার।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, মেয়ের ভাইয়ের কাছ থেকে ওই যুবক চাকরি দেয়ার নাম করে ৫০ হাজার টাকা নেয়। এরপর মেযেটির বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করত। বিবাহিত যুবকটি মেয়েটিকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে দুজনে পালিয়ে যায়। পাঁচদিন পর বাড়ি ফিরে এলে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ দেখা যায়। বিরোধের মধ্যেই মেয়েটি গত ৬ ডিসেম্বর হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
মেয়েটির বাবা জানান, তার ছেলেকে চাকরি দেয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছে। মেয়েকে বিয়ে করেছে বলে জানালেও আসলে বিয়ে করেনি। মেয়েকে ভুল বুঝিয়ে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ওই যুবকের মায়ের দাবি, তার ছেলেকে ফাঁসাতেই মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে।
স্থানীয় ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, অভিযোগ ওঠা ওই যুবক ইউনিয়ন পরিষদে উদ্যোক্তা হিসেবে জানি। আমরা এর প্রমাণ পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, ‘ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদি হয়ে বুধবার রাতে আত্মহত্যার প্ররোচণা বিষয়ে ওই যুবককে আসামি করে মামলা করেছেন। মেয়েটি রাজশাহীতে মারা যাওয়ায় সেখানে ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’