ভাইয়ের সঙ্গে নিজেদের ধানক্ষেতে গোবর সার ফেলতে গিয়ে একটি বোমাসদৃশ বস্তু দেখতে পান ইউনুস আলি ছোটন।
সেটি তুলে হাতে নেয়ার পর পরীক্ষা করছিলেন বস্তুটি কী, একপর্যায়ে সেটি স্ক্রু দিয়ে খোলার চেষ্টা করলে সঙ্গে সঙ্গেই বিস্ফোরণ হয়ে উড়ে যায় কলেজ ছাত্র ছোটনের বাম হাতের কব্জি। ক্ষত-বিক্ষত হয় ডান হাত, মুখমণ্ডল, বুকসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ। তাকে দ্রুত সাতক্ষীরায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের গোদাঘাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ছোটন ওই গ্রামের ইয়াকুব আলি গাজীর ছেলে। তিনি ঝাউডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের সম্মান তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
তার বড় ভাই ফিরোজ হোসেন গাজী জানান, বুধবার সকাল থেকে ছোটনকে নিয়ে তিনি ট্রলিতে করে বাড়ি থেকে গোবর সার নিয়ে ধান চাষের জমিতে ফেলছিলেন। দুপুর দেড়টার দিকে তিনি রাস্তার পাশে একটি খেজুর গাছের নীচে শুকনা কাঠপাতা সংগ্রহের সময় একটি টেপ মোড়ানো কৌটা দেখতে পেয়ে ছোটনকে ছুড়ে দেন। ছোটন কৌটাটি বাম হাতে নিয়ে স্ক্র ড্রাইভার দিয়ে খুলতে গেলে বিস্ফোরণ হয়।
তিনি জানান, এতে ছোটনের বাম হাতের কব্জি থেকে উড়ে যায়। ডান হাত, বুক, মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষতবিক্ষত হয়। এ সময় ফিরোজও আহত হন।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে সাতক্ষীরা শহরের ট্রমা সেন্টারে নিয়ে গেলে ছোটনের অপারেশন করা হয়। পরে ছোটনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স সার্জন হাফিজ উল্লাহ বলেন, ‘ছোটনের বাম হাতের কিছু অংশ কেটে বাদ দিতে হয়েছে। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন অংশ বোমার স্প্রিন্টারের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বোমার আঘাতে ছোটন নামের এক কলেজ ছাত্র মারাত্মক জখম হওয়ার কথা শুনেছি। ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।’