মাত্র ২৪ বছর বয়সে দেশকে স্বাধীন করতে মোস্তফা কামাল যোগ দিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। যুদ্ধে শহিদ হয়ে উপাধি পান বীরশ্রেষ্ঠ। বেঁচে থাকলে বিজয় দেখতে পেতেন। এমনকি বিজয়ের দিনেই উদযাপন করতে পারতেন নিজের জন্ম দিন। সেই সৌভাগ্য হয়নি বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের।
বুধবার মহান বিজয় দিবসে ভোলায় বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তাফা কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
১৯৪৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভোলার দৌলতখান উপজেলার হাজিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মোস্তফা কামাল।
তার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল মহাবিদ্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল হয়েছে। পরে কেক কেটে জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেন অতিথিরা।
বীরশ্রেষ্ঠের মোস্তফা কামাল কলেজ কর্তৃপক্ষ বীরশ্রেষ্ঠের জন্মবার্ষিকী পালনের আয়োজন করে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক-সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
আলোচনা সভায় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেলিম আহমেদ লিটনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বশির আহম্মেদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, দৈনিক আজকের ভোলা সম্পাদক মুহা. শওকাত হোসেন, ভোলা প্রেসক্লাব সম্পাদক অমিতাভ অপু, সাংবাদিক নেয়ামত উল্ল্যাহ, আবৃত্তি শিল্পী মশিউর রহমান পিংকুসহ আরও অনেকে।
স্বাধীনতা যুদ্ধে ১৭ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় হানাদার বাহিনীর বুলেটের আঘাতে তিনি শহিদ হন।