বরিশালের হিজলা উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। ছাত্রলীগের সভাপতির ওপর সম্পাদকের হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ হয়।
মঙ্গলবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় সংলগ্ন খুন্নাগোবিন্দপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশত মানুষ আহত হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পাঁচটি গুলি ছোঁড়ে। আহত পাঁচ পুলিশকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোলায়মান হোসেন শান্ত সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথের অনুসারী। মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে শান্ত উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগমের ছেলে নাঈমের সঙ্গে তার মোটরসাইকেলে খুন্না বন্দর থেকে উপজেলা সদরে যাচ্ছিল। খুন্নাগোবিন্দপুর এলাকা পার হওয়ার সময় তাদের বিরোধী গ্রুপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ টিপুর অনুসারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তানভীর ও তার দল শান্তদের ওপর হামলা চালায়।
হামলায় আহত শান্ত ও নাঈমকে পুলিশ এসে উদ্ধার করে হিজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে এমপি পঙ্কজের অনুসারীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জড়ো হয়। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে টিপুর লোকজনও জড়ো হয়। দুই গ্রুপের লোকজন লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি হলে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এরপরও ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
ওসি অসীম জানান, ওসি (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম তারেক ও চার পুলিশ কনস্টেবলসহ অর্ধশত মানুষ আহত হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে পাঁচটি মোটরসাইকেল।
হিজলার সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মতিউর রহমান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বকুল চন্দ্র কবিরাজ বলেন, পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত উপজেলায় সব রকম রাজনৈতিক কর্মসূচি স্থগিত রাখা হয়েছে। বিজয় দিবসের জাতীয় কর্মসূচি উপজেলা প্রশাসন পালন করবে।