জামালপুরের সরিষাবাড়িতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছে অন্তত ৪০ জন। পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে তিনটি মোটরসাইকেলও।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তারাকান্দি গেইটপাড় এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।
আহতদের মধ্যে ১৩ জনকে সরিষাবাড়ি হাসপাতালে এবং ১৭ জনকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সরিষাবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, তারাকান্দি গেইটপাড় এলাকায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা মহান বিজয় দিবসে পুষ্পস্তবক অর্পণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় শ্রমিক লীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন মুকুলের নেতৃত্বে ৭০-৮০ জন নেতা-কর্মী তাদের ওপর হামলা করেন। দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি গুলি ছোড়া হয়।
এতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন গুলিবিদ্ধ হন। আহতদের মধ্যে সাইফুল, আজমত আলী, আনোয়ার, সাইফুল, লাল চান, লিটন, জাহিদুর, উজ্জল, আজমত, বেলাল, মিন্টু ও মানিককে সরিষাবাড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।গুলিবিদ্ধ আল-মামুন ছাড়াও গুরুতর আহত ঠান্ডু, স্বপন, আবুলসহ ১৭ জনকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শ্রমিক লীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন মুকুল দাবি করেন, তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে মিছিল নিয়ে তারাকান্দি যমুনা সার কারখানার কলোনি গেটে আসেন। সেখানে নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান সফল করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় রফিকুল ইসলাম রফিকের লোকজন তাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালান। এখানে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি করেছে।
সরিষবাড়ির তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর তরিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হলেও, গোলাগুলি ও হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও ফাঁকা গুলি করেনি।