বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মরদেহ ছিল টয়লেটের পাশে মাটিচাপা দেয়া

  •    
  • ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ২৩:৪৮

গত শনিবার থেকে নিখোঁজ মন্নাফের ভাই রোববার অপহরণের অভিযোগ করলে চাচাত ভাইসহ ছয় জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা তার মরদেহ সেখানে মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দেন।

চার দিন নিখোঁজ থাকার পর মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার মিলী প্লাজার ব্যবসায়ী আবদুল মনাফের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আটক মন্নাফের চাচাত ভাইয়ের দেয়া তথ্যে বাড়ির পাশে টয়লেটের পাশ থেকে মাটিচাপা দেয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

গত শনিবার থেকে নিখোঁজ মন্নাফের ভাই রোববার অপহরণের অভিযোগ করলে চাচাত ভাইসহ ছয় জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা তার মরদেহ সেখানে মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দেন।

পুলিশ জানায়, গত শনিবার থেকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না কুলাউড়ার মিলি প্লাজার মনাফ টেলিকমের স্বত্বাধীকারী আব্দুল মনাফের। নিখোঁজ মনাফের বাড়ি ভুকশিমইল ইউনিয়নের মিরেরশংকর গ্রামে। তিনি মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে। মনাফ দোকানে এসে বাড়িতে ফিরে না গেলে পরিবারের লোকজন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। খোঁজাখুঁজি করে না পাওয়ায় রোববার বড়ভাই আজির উদ্দিন বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের পর প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিখোঁজ মনাফের চাচাত ভাইদের ব্যবহৃত টয়লেটের ট্যাংকির ভিতর থেকে মনাফের আইডি কার্ড, গ্রামীণফোনের সিম ও মানিব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরে মনাফের চাচাত ভাই শাহিন মিয়া, ফয়েজ মিয়া ও ফজলু মিয়া, চান মিয়া ও তাদের ছেলে শামছুল মিয়াসহ ছয় জনকে আটক করে পুলিশ। অন্য জনের নাম জানা যায়নি।

মনাফের ছোট ভাই মাহবুব আহমেদ সুমন জানান, দীর্ঘ দিন থেকে চাচাত ভাইদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে সমস্যা ছিল। তাদের ধারণা, চাচাত ভাইয়েরাই মন্নাফকে হত্যা করে মরদেহ মাটিচাপা দিয়ে রেখেছে।

এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চাচাত ভাইদের স্বীকারোক্তিতে নিখোঁজ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। দোষিদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম দস্তগীর গাজীসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এ বিভাগের আরো খবর