রংপুরে করোনার ঝুঁকি এড়াতে এবার বই উৎসব হবে না। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা রিকশা বা ভ্যানে করে পাড়ায় পাড়ায় বই নিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহাজাহান সিদ্দিক।
তিনি আরও জানান, তালিকা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দেবেন তারা। এ জন্য এখন থেকে মাঠপর্যায়ে কাজ চলছে।
এদিকে আটটি উপজেলায় দুই হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাড়ে নয় লাখ বই পায়নি কর্তৃপক্ষ। এই দুই হাজার বিদ্যালয়ে নতুন বইয়ের চাহিদা ২০ লাখ ৪৩ হাজার ৯৭৪টি।
সোমবার পর্যন্ত ১০ লাখ ৯৩ হাজার ২৯৬টি বই উপজেলা শিক্ষা অফিসে পৌঁছেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ধারণা করছে, আগামী ২০ ডিসেম্বরের পর যেকোনো দিন চাহিদা অনুযায়ী বই আসবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহাজাহান সিদ্দিক বলেন, ‘রংপুর জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১ হাজার ৪৫৮টি। এ ছাড়াও কিন্ডার গার্টেনসহ বেসরকারি বিদ্যালয় মিলে প্রায় দুই হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার জেলার মোট বইয়ের চাহিদা হচ্ছে ২০ লাখ ৪৩ হাজার ৯৭৪টি। এর মধ্যে ১০ লাখ ৯৩ হাজার ২২৯টি বই পেয়েছি। পীরগঞ্জ ও বদরগঞ্জ উপজেলায় বই কম এসেছে। এ ছাড়া প্রায় সব উপজেলা শিক্ষা অফিসেই অধিকাংশ বই পৌঁছে গেছে।’
উল্লেখ, বই উৎসবের জন্য প্রতিবছর ডিসেম্বরের শুরুর দিকে বেশির ভাগ নতুন বই চলে আসে।