শেরপুরে তাজেল হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ তিন জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং চতুর্থ শ্রেণির শিশু ধর্ষণ মামলায় এক জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আল মামুন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান রায় ঘোষণা করেন।
হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সদর উপজেলার চান্দেরনগর চক্কারপাড় গ্রামের বাদশা মিয়া, তার ছেলে ফকির আলী ও আলিনাপাড়া গ্রামের হাসমত আলী।
ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাও ইউনিয়নের ধোপাকুড়া গ্রামের বাসিন্দা আশরাফুলকে। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
হত্যা মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর সদর উপজেলার চান্দেরনগর গ্রামের দিনমজুর তাজেল মিয়াকে পূর্বশত্রুতার জের ধরে বাদশা মিয়া, ফকির ও হাসমতসহ কয়েক জন লোহার রড, লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।
ঘটনার পরদিন তাজেলের ভাই মো. জিয়ার সদর থানায় ১১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১২ জুন সাত জনকে আসামি করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সজীব খান।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী চন্দন কুমার পাল ও আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আলমগীর কিবরিয়া কামরুল।চন্দন কুমার পাল বলেন, ‘আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।’
আসামী পক্ষের আইনজীবী আলমগীর জানান, তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করবেন।
এদিকে ধর্ষণ মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৪ অক্টোবর ঈদের দিন নালিতাবাড়ী উপজেলার ধোপাকুড়া গ্রামের চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১২) ধর্ষণ করেন একই গ্রামের যুবক আশরাফুল।
এ ঘটনায় ১৭ অক্টোবর নালিতাবাড়ী থানায় আশরাফুলকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন ওই শিশুর বাবা।
মামলার তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ৩০ নভেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাইফুল ইসলাম।
আসামি আশরাফুল পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা করেন বিচারক।