কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সর্বশেষ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাদ আহমেদকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। সোমবার রাতে আলমডাঙ্গা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত গ্রেফতারের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, কিছু প্রক্রিয়া শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, আলমডাঙ্গার বাবুপাড়া এলাকার আবু তালেব রওশন মাস্টারের বাড়ি থেকে সাদ আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রওশন মাস্টার এলাকার জামায়াতের নেতা।
তিনি জানান, সাদ আহমেদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকের ওপর হামলাসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।
গত ৫ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙার পর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন কুষ্টিয়া শহরে বিক্ষোভ দেখায়। আর এর পরপরই সাদ আহমেদের নেতৃত্বে শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করা হয়।
এ সময় বিএনপি নেতার ভাইয়ের প্রতিষ্ঠান এসবি সুপার ডিলাক্সের কাউন্টারে ভাঙচুরের সংবাদ সংগ্রহ করতে আসা দীপ্ত টেলিভিশনের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি দেবেশ চন্দ্র সরকার ও ক্যামেরাপার্সন হারুন অর রশিদ তাদের হামলায় গুরুতর আহত হন।
পরদিন ৬ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া মডেল থানায় সাদ আহমেদকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন দেবেশ চন্দ্র সরকার। এরপর থেকেই বিতর্কিত এই ছাত্রনেতা আত্মগোপনে ছিলেন।
২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর ইয়াসির আরাফাত তুষারকে সভাপতি ও সাদ আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন হয়।
বিভিন্ন অভিযোগ থাকায় এবং মেয়াদাত্তীর্ণ হওয়ায় পুরো কমিটি এ বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল-নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এরপর কুষ্টিয়ায় ছাত্রলীগের আর কমিটি গঠন হয়নি।