স্থগিত হয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচন হবে।
নির্বাচনে মেয়র হিসেবে ছয় প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তারিখ ঘোষণার পর নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়েছে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে মনে করেন তিনি।
অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন তারিখ ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও নির্বাচন নিরপেক্ষ হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তার অভিযোগ, এই সরকারের আমলে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকায় চট্টগ্রাম নগরের মানুষ জন্ম নিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদ, মৃত্যু সনদসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। নির্বাচনের তারিখ দেয়ায় নগরবাসীর মধ্যে স্বস্তি এসেছে।’
নতুন তারিখ অনুযায়ী উৎসবমুখর পরিবেশে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে মনে করছেন তিনি।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘শুধু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলে হবে না, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া বড় চ্যালেঞ্জ। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন এখনও হয়নি।
‘আমাদের ঘোষণা হচ্ছে, জনগণের আশার পরিপন্থি কোনো নির্বাচন চট্টগ্রামবাসী গ্রহণ করব না।’
শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নাই। তবে ইভিএম সুরক্ষিত হতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ বন্ধ করতে হবে।’
আগামী ২৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট হয়। মেয়াদ ছিল ২০২০ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, ৫ আগস্টের পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার কথা ছিল। এ জন্য তফসিল ঘোষণা করে ২৯ মার্চ ভোটের দিন রাখে ইসি। কিন্তু করোনা, পাহাড়ি ধস ও অতিবৃষ্টির কারণে ২১ মার্চ ভোট স্থগিত করা হয়।
নির্বাচনে ছয় মেয়র প্রার্থী হলেন- আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী, বিএনপির শাহাদাত হোসেন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন, পিপলস পার্টির আবুল মনজুর, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জান্নাতুল ইসলাম।